পশ্চিম পটিয়ায় বিএনএম প্রার্থী এয়াকুব আলীর মতবিনিময় সভা

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিজ এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন চট্টগ্রাম পটিয়া-১২ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর মনোনীত প্রার্থী শিল্পপতি ও সমাজসেবক এম এয়াকুব আলী।

পশ্চিম পটিয়ায় বিএনএম প্রার্থী এয়াকুব আলীর মতবিনিময় সভা 1

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিনখাইন এলাকার নিজ গ্রামের হাজারো মানুষের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ ভোটাররা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনএম প্রার্থী এম এয়াকুব আলীকে নোঙ্গর প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তারা বলেন, পশ্চিম পটিয়া হচ্ছে ভোট ব্যাংক। নির্বাচন আসলে সব প্রার্থী নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের ভোটগুলো কৌশলে নিয়ে ভোটের পর আর পশ্চিম পটিয়ার মানুষকে চেনেন না। আমরা যুগে যুগে পশ্চিম পটিয়া মানুষ অবহেলিত। এবার সময় এসেছে আমাদের পশ্চিম পটিয়ার একক সংসদ সদস্য প্রার্থী এম এয়াকুব আলীকে বিজয়ী করে অবহেলিত পশ্চিম পটিয়ার মানুষের পক্ষে জাতীয় সংসদে গিয়ে কথা বলার সুযোগ অর্জন করার।

মতবিনিময় সভায় বিএনএম প্রার্থী এম এয়াকুব আলী বলেন, আমি গত ১৮ বছর থেকেই একটা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। সরকার বলছে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বিএনএফ বাংলাদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু ধারা ফিরিয়ে আনতে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখনো পটিয়ার মানুষের জন্য পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করে আসছি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, গুম, খুন, অপহরণমুক্ত পটিয়া গড়তে আমি কাজ করব। যাতে আমার পটিয়ার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। এ বীর পটিয়া আমার নিজ এলাকা। পটিয়াকে নিয়ে আমার অনেক ভাবনা আছে। পটিয়ায় টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে না। পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে পটিয়ার মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে গত ১৫ বছর ধরে। এবার সময় এসেছে পটিয়ার মানুষকে পরিবারতন্ত্রের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দেওয়ার।

বিএনএম প্রার্থী বলেন, ২০০৬ সালে ড. কর্নেল অলি আহমদ আমাকে ডেকে নিয়ে মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী করেছিলেন। এরপর ২০০৮ সালে ১/১১ নির্বাচনে এলডিপি থেকে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রার্থী হই। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে সেই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিই। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন বর্জনের কারনে আর দলীয় প্রার্থী হইনি। কিন্তু এবারের ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাসে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) দল থেকে মনোনয়ন নিয়েছি। আমি আশা করেছিলাম আমার দল এলডিপি থেকে প্রার্থী হওয়ার। কিন্তু দল নির্বাচন বর্জন করার কারনে দল থেকে মনোনয়ন নেওয়ার সুযোগ হয়নি। এরপর আমি চেয়েছিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পটিয়ার মানুষের পাশে থাকার। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তার নিজ এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটের নমুনা স্বাক্ষর নিয়ে জমা দিতে হবে। আমি সেই ঝামেলায় না গিয়ে নতুন দল বিএনএম থেকে প্রার্থী হয়েছি।

এয়াকুব আলী বলেন, আমি এ নির্বাচনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাব। অনেকেই বলছেন পটিয়ায় দুজন হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে পারব কি না। আমি এ ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করছি আমি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাবো না। আগামী ২০ ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রায় সবার উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ কামনা করেন এম এয়াকুব আলী।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ আবদুর রাজ্জাক, মনসুর আলম, ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ, আইয়ুব আলী, আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, আবুল মনসুর, আবদুর রশিদ, নুরুল আলম, রেজাউল ইসলাম, কানুন, হারুন সওদাগর, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল ইসলাম কোম্পানি, জাহেদুল হক মেম্বার, মাস্টার জাহাঙ্গীর, ফরিদুল আলম, নুরুল হক, মফিজুল হক, পারভেজ, বাবুল,শাহজাহান, শহিদ, আবদুল আলীম প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!