পলাতক বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড, জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রাম আদালতে জঙ্গি হামলার রায়

চট্টগ্রাম আদালত ভবনে পুলিশ চেক পোস্টে আত্মঘাতী বোমা হামলার মামলায় পলাতক থাকা বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেক আসামি জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারটায় চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এই রায় দেন। রায় ঘোষনা উপলক্ষে চট্টগ্রাম আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কারাগার থেকে জঙ্গি জাবেদ ইকবালকে এজলাসে হাজির করা হয়। এ মামলার জীবিত অপর আসামি বোমারু মিজান পলাতক আছেন। তার অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেদিনই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় গত ৯ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ৭৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ মে জাবেদ ইকবালসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অন্য একটি মামলায় আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান নামের তিন আসামির ফাঁসির আদেশ হওয়ায় তাদের এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। অপর দুই আসামির মধ্যে মোহাম্মদ প্রকাশ আমান প্রকাশ জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে এবং অপরজন জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বোমারু মিজান পলাতক। ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ আদালতে নেওয়ার পথে ত্রিশাল এলাকায় প্রিজন ভ্যানে গুলি ও বোমা ছুড়ে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই তিনজনের একজন হলেন জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বোমারু মিজান।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তল্লাশি চৌকির সামনে বোমা হামলা চালায় জেএমবির সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী মো. শাহাবুদ্দীন। আহত হন কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।

আইএমই/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!