পরিবহন ধর্মঘটের সমাধান এল মন্ত্রী বাড়ির ৪ ঘন্টার বৈঠকে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে টানা চার ঘন্টার বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ট্রাক মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করলো। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত নয়টায় ঢাকার ধানমণ্ডিতে শুরু হওয়া ওই বৈঠকের শেষ দিকে ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান মালিকদের তোলা নয়টি দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবেচনার আশ্বাস দিলে তখনই ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

রাত একটায় শেষ হওয়া ওই বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, হালকা যান চলাচলের লাইসেন্স নিয়ে যারা ভারী যান চালাচ্ছেন, তারা লাইসেন্স হালনাগাদ করতে আরও ছয় মাস সময় পাবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন চালকরা যে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে চালাচ্ছেন, আগামী ছয় মাস তারা সেভাবেই গাড়ি চালাতে পারবেন। আইনে যে কয়টি ধারা নিয়ে তারা আবেদন করেছেন, সেগুলো সংশোধনের জন্য আমরা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ আকারে পাঠাবো। আর তাদের যেসব কাগজপত্রে সমস্যা আছে, সেগুলো সংশোধন করে নেওয়ার জন্য জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবিগুলো আমরা মেনে নিয়েছি।’

এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামসহ বিআরটিএ কর্মকর্তারা। মালিক-শ্রমিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রাক-কভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মুগবুল আহমেদ, সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাকচালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্য নেতারা। ছিলেন পরিবহন মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন মজুমদারও। তবে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) থেকে হঠাৎ ধর্মঘটের ডাক দেয় ট্রাক ও পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা। নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়। তবে এই আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া না হলেও ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নতুন সড়ক আইন পরিবর্তনের দাবিতে দেশব্যাপী ডাকা ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকার প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ধর্মঘটের প্রথম দিনেই বন্দর থেকে কোন ধরণের পণ্যবাহী কনটেইনার ডেলিভারি হয়নি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!