নিজেরা দেখভাল করতে না পারায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ কিলোমিটার সৈকত এলাকাকে দুটি জোনে ভাগ করে টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া হবে দুটি অপারেটর প্রতিষ্ঠানকে।
পুরো পরিকল্পনাটি দুই জোনে বিভক্ত। নৌ বাহিনীর ওয়েস্ট পয়েন্টের পার্শ্ববর্তী অংশ থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রথম জোন এবং সেখান থেকে ইপিজেডের পেছনের অংশ হবে দ্বিতীয় জোন। প্রথম জোন থেকে দ্বিতীয় জোনে যাওয়ার পথে দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে টয় ট্রেন এবং ক্যাবল কার। ওয়াটার ক্রুজে যাওয়ার জন্য থাকবে দর্শনীয় দুটি জেটি। একাধিক থিম পার্কের ব্যবস্থাও থাকবে। সবমিলিয়ে দুই অপারেটরকে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় শেষ হতে যাওয়া আউটার রিং রোডের বিশাল একটি অংশ জুড়ে রয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। এর মধ্যে সড়কের অংশ হিসাবে পতেঙ্গায় তিন স্তরের একটি পর্যটন স্পটও তৈরি হয়ে গেছে। যার আকর্ষণে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসে এখানে। কিন্তু সিডিএর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সৈকতের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব না হওয়ায় পুরো দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি খাতে। সিডিএ কর্তৃপক্ষ খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে টেন্ডার আহবান করবে বলে জানা গেছে।
সিডিএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসেই টেন্ডার আহ্বানের পাশাপাশি আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে পুরো প্রকল্পের কাজ। দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সৈকত ব্যবস্থাপনায় সিডিএর চুক্তি হবে ২৫ বছরের।
সিপি