দোকানে বিক্রি হচ্ছিল নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বিনামূল্যের সাবান

জেলা প্রশাসনের অভিযানে ৬১টি মামলায় লাখ টাকার দন্ড

নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি, সামাজিক দূরত্ব অমান্য, অযথা বাইরে ঘোরাঘুরিসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত পৃথক অভিযানে ৬১টি মামলায় ১ লাখ ২ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরজুড়ে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান। অভিযানে ইপিজেড এলাকায় দোকান খোলা রাখায় মেসার্স ইউসুফ এন্টারপ্রাইজকে ৩ হাজার, তাহের এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার. জে বি এন্টারপ্রাইজকে ৫ হাজার, দক্ষিণ হালিশহর মিতালি ডিজিটাল স্টুডিওকে ১ হাজার ৫০০, শাহজালাল বস্ত্র বিতানকে ৩ হাজার এবং মেহতাব ইলেক্ট্রনিকসকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা করায় ৫ জনকে মোট ৪ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পাঁচলাইশ, খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি মামলায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অপরদিকে চাঁন্দগাও, চকবাজার, বাকলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন। তিনি ১টি হার্ডওয়্যারের দোকানকে ৫০০, ২টি সিমেন্টের দোকানকে ১০ হাজার টাকা এবং একটি চায়ের দোকানে আড্ডাবাজির জন্য দোকানি ও ক্রেতাদের ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নগরীর সদরঘাট, কোতোয়ালী ও ডবলমুরিং এলাকায় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন অভিযান চালান। অভিযানকালে একটি দোকানে নকল হেক্সিসল পাওয়ায় তা জব্ধ করে ধ্বংস করা হয়। ‘বিক্রয়ের জন্য নয়’ লেখা ডেটল পাওয়া যায় ৪টি। সেগুলো ৪ জন রিকশাওয়ালাকে দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া দোকান খোলা রাখা, বাইক অযথা ঘোরাঘুরিসহ নানা অপরাধে মোট ১২টি মামলায় ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার জানান, আকবরশাহ, পাহাড়তলী, হালিশহর এলাকায় সরকার প্রদত্ত নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন দোকান খোলা রাখা, সামাজিক দুরত্ব বজায় না থাকার কারণে মোট ৬টি মামলায় ৬ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এদিকে, বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা থানা এলাকায় অঞ্চলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ অযৌক্তিক বাইরে অবস্থান, সরকারি রাস্তা অবরুদ্ধ করার অপরাধে ৪টি মামলায় ১৩ জনকে ২৪ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেন।

নগরীর চান্দগাঁও, চকবাজার, বাকলিয়া এলাকায় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে এম ইশমাম পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন অপরাধ আমলে নিয়ে ৬টি মামলায় ৬ হাজার ৫০ টাকা অর্থদন্ড করেন।

এছাড়া, বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযানে ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা ৭টি মামলায় ৪ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

কোতোয়ালি, সদরঘাট, ডবমুরিং এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কায়সার খসরু ২টি মামলায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়াও হালিশহর, পাহাড়তলী, আকবরশাহ এলাকায় সিনিয়র অভিযান চালিয়ে ৪টি মামলায় ২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চাই থোয়াইহলা চৌধুরী।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!