জিইসির বনজৌরে নোংরা পরিবেশ, গণি বেকারির কারখানা চরম অস্বাস্থ্যকর

নোংরা পাত্রে খাবার বানায় দস্তগীর হোটেল

চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের বনজৌর রেস্টুরেন্টে কীটনাশক আর ময়লার ঝুড়ির পাশেই রাখা ছিল খাবার তৈরির উপকরণ। এমন কাণ্ডই শুধু নয়, ফ্রিজে খুঁজে পাওয়া গেল মেয়াদবিহীন দুধও। হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গেই চট্টগ্রামের এই নামি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করলেন ২৫ হাজার টাকা।

তবে বনজৌর রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। তারা বেশি দামে কোমলপানীয়ের ক্যান বিক্রি করছে— একজন ক্রেতার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তার দণ্ড হিসেবেও জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঝটিকা অভিযান চালায়। এপিবিএন-৯ এর সদস্যরা এতে সহায়তা দেন।

দিনব্যাপী অভিযানে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বনজৌর ছাড়াও অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান হল— গণি বেকারি ও দস্তগীর হোটেল।

অভিযানকালে দেখা যায়, নগরীর জিইসি মোড়ের বনজৌর রেস্টুরেন্টের ভেতরে কীটনাশক (ফিনিশ) ও ময়লার ঝুড়ির পাশেই রাখা আছে খাবার তৈরির উপকরণ। অন্যদিকে ফ্রিজে রাখা ছিল মেয়াদবিহীন দুধ। হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বনজৌরকে। এছাড়া এই রেস্টুরেন্টে বেশি দামে কোমলপানীয়ের ক্যান বিক্রি করা হয়— একজন ক্রেতার কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে আরও ৫ হাজার জরিমানা করা হয় বনজৌরকে।

এদিকে চন্দনপুরা কলেজ রোডের গণি বেকারিতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলাকালে দেখা যায়, সেখানে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে পরিমাণ ও মূল্য উল্লেখ করা হয় না। ময়লা মেঝেতে খাদ্যপণ্য রেখে সেগুলো প্যাকেটে ভরা করা হয়। শুধু তাই নয়, গণি বেকারি তাদের পণ্যে লেবেলবিহীন ফ্লেভার ব্যবহার করে, কারখানায় ময়লার পাত্র রাখা হয় খোলা। সবমিলিয়ে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারিপণ্য তৈরির প্রমাণ পেয়ে চট্টগ্রামের নামি এই প্রতিষ্ঠান গণি বেকারিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্কও করে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে নগরীর মোমিন রোডের দস্তগীর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকেও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়। দস্তগীর হোটেলে নোংরা পাত্রে খাবার তৈরি ও সংরক্ষণ করা, উৎপাদিত খাদ্য খোলা অবস্থায় রাখা এবং খাদ্যপণ্য সংরক্ষণে ছাপানো নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার করার প্রমাণ হাতেনাতে পেয়েছে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!