জনরোষ থেকে বাঁচতে নদভী প্রলাপ বকছেন—বললেন এমপি মোতালেব

এক দশকে হরিলুট ও অরাজকতায় স্থানীয়দের অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সাংসদ আবু রেজা নদভীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। জনগণের রোষানলে পড়ে বর্তমানে নিজ এলাকায় যেতে পারছেন না তারা। নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে দোষারোপ করে অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন। ছয় খুনের দাবি করে প্রলাপ বকছেন।

জনরোষ থেকে বাঁচতে নদভী প্রলাপ বকছেন—বললেন এমপি মোতালেব 1

রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাংসদ ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব সিআইপি।

এদিকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে ১০০ দিনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাংসদ আব্দুল মোতালেব। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উঠে আসছে সাবেক এমপি নদভীর একের পর এক অনিয়মের চিত্র।

এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থপাচারের অভিযোগও উঠেছে সাবেক সাংসদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এমপি মোতালেব। এছাড়া চাঁদাবাজি, দখলদারি করতে গুলি করে মানুষের ক্ষতি করা আসামিদের অপসারণসহ তিনটি দাবিও তুলেছেন তিনি।

সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ছয় খুনের বিষয়টি দুই থানার ওসি প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে এমপি মোতালেব বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা নেই, নদভীর দাবি করা ৬ মার্ডারের বিষয়টা কাল্পনিক। সাবেক এমপি’র নিজ এলাকা মাদার্শায় মাদক নিয়ে বিরোধে একজন নিহত হয়েছেন। সেই মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। আর কোনো মার্ডার গত আড়াই মাসে হয়নি। মূলত নদভী সাহেব কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করে নিজের অতীত ধামাচাপা দিতে চান।

লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাংসদ সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব সিআইপি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের কল্যাণে ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করি। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য মাটি কাটা (টপ সয়েল) বন্ধ করা, অবৈধ গ্যাস ফিলিং স্টেশন বন্ধ করা, দখল-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস বন্ধ করা, মাদক ব্যবসায়ীদের দমন করাই ছিল মূল লক্ষ্য। তা বাস্তবায়নেও বেশ সফল হচ্ছি।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সাংসদ আবু রেজা নদভী কাল্পনিক, অবান্তর ও প্রতিহিংসামূলক মিথ্যাচার করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যে সব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও চোর-বাটপারদের ইতোমধ্যে দমন করেছি। তাদের পক্ষ নিয়ে নদভী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে অসংলগ্ন প্রলাপের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছেন। তার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য চট্টগ্রাম-১৫ আসনের জনমনে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ থেকেই একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমি আপনাদের সামনে এসেছি।

তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল মোতালেব বলেন, সাবেক এই সাংসদের বিরুদ্ধে স্থানীয় দেওদীঘি বাজারে তার পাড়া-প্রতিবেশীরা পাওনা টাকা, জমি, ইটভাটা ফেরত চেয়ে ও তার দুর্নীতির বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছিলেন। দীর্ঘ এক দশক নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, মিথ্যা মামলায় জর্জরিতদের আহাজারিতে সেদিন দেওদীঘির বাতাস ছিলো ভারী।

তিনি বলেন, তার স্ত্রীর ছায়ায় শ্যালক রুহুল্লাহ চেয়ারম্যান গভীর নলকূপ দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন, বালুমহাল বাণিজ্য করতে গিয়ে কৃষকদের গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন। সে অপরাধে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, জনরোষের ভয়ে এলাকায় যান না। অথচ বলা হচ্ছে তাকে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। নদভী সমর্থকরা এলাকায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু এমন কোনো অভিযোগ পেলে ওই ব্যক্তির নিরাপত্তার দায়িত্ব আমি নেবো। আপনাদের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, জীবনে একদিনও আওয়ামী লীগ না করে দুইবার আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছিলেন নদভী সাহেব। তারপর স্ত্রী, ভাইপো, শ্যালক, ভাগিনা, এপিএস’রা সিন্ডিকেট করে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য গড়েছিলেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায়। প্রশ্ন হলো, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল বলে তিনি কি সরকারকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ বুঝাতে চান? তার তীর আমার দিকে নাকি সরকারের দিকে? তা পরিষ্কার করতে হবে।

নদভীর ক্ষমতার দাপটের সামনে অতীতের পিআইও, ইউএনওরা ছিলেন অসহায়। টিআর ও কাবিখা প্রকল্পগুলো তিনি এমনভাবে বণ্টন করেছিলেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন যেন তাঁর পরিবার লোকজন আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যান। সরকারি প্রকল্পে নয়ছয় করে, ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে অনিরাপাদ গ্যাস পাম্প স্থাপন, অবৈধভাবে পাহাড়ে বাঁধ দিয়ে সেচ কাজ করা, মাটি কাটা, পিকআপ গাড়ির টোকেন বাণিজ্য, ইট ভাটা মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, বদলি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ করেছে। ১০ বছর আগের তার কুঁড়েঘর এখন প্রাসাদ হয়েছে।

এমপি মোতালেব বলেন, এঁওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামে কয়েকজনের মালিকাধীন একটি ব্রিকফিল্ড অন্যজনের নামে নিজের প্যাডে লিখে দিয়ে রাতারাতি কয়েক লাখ ইট লুট করেছিলেন। তবে এসবের সদুত্তর এখনো দিতে পারেননি নদভী। এই সব অনাচারের প্রতিবাদ করেই ডা. মিনহাজ তার থেকে দূরে সরে এসেছিলেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চিকিৎসক প্রফেসর ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের বিরুদ্ধাচারণ করেছেন নদভী। কিন্তু তিনি জনগণের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন তার ভালো কাজগুলোর মাধ্যমে। তাইতো তার দেওয়া ‘বউত দিন হাইয়্যু, আর ন হাইয়্যু, তোয়ার বউয়ে হাইয়্যে, শালায় হাইয়্যে, ভাইপোতে হাইয়্যে, ভাইজি হাইয়্যে, আর ন হাইয়্যু’ নির্বাচনের সময়ে ডাক্তার মিনহাজের এ বক্তব্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে গনজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।

নদভী পিএইচডি ভুয়া কিনা তা ইউজিসি কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন এমপি আব্দুল মোতালেব। তিনি বলেন, নদভী সাহেব এ বিষয়ে ইউজিসির একটি প্রত্যায়ন নিয়ে গণমধ্যমে প্রকাশ করলে বিষয়টি মীমাংসা করতে পারেন। তিনি তা না করে জনগণের মনে জেগে থাকা প্রশ্নকে থামিয়ে দিতে অহেতুক রাগ দেখাচ্ছেন।

হাসপাতাল করার নামে চাঁদাবাজি করেছেন বলে এমপি নির্বাচিত হবার পরে অনেকেই অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান মোতালেব। তিনি বলেন, আমিতো তাকে এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করিনি। এখন পাওনাদাররা পাওনা টাকা আদায়ে মানববন্ধন করছে। এটার দায় তিনি আমার ঘাড়ে তুলে দিতে পারেন না। নদভী সাহেবের প্রতিষ্ঠিত এনজিও আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রাক্তন কর্মচারী এবং কিছু মসজিদ কমিটির সভাপতি উত্থাপন করেছেন। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেছেন, তাদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে কমিশন কেটে নেওয়া হয়েছে। আমি যদ্দুর জানি আন্তর্জাতিক জঙ্গি কানেকশনের অভিযোগে উনার ওই এনজিওটি কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দিয়ে তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করেননি।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নদভী। গত সংসদ নির্বাচনেও তিনি ২০/৩০টি মার্ডারের কথা বলেছিলেন প্রকাশ্যে। এদিকে দোষারোপ করছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। তবে কী তিনি উপজেলা নির্বাচনে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করছেন?—মন্তব্য করেন এমপি মোতালেব।

এমপি মোতালেবের ৩ দাবি

প্রথমত, নদভীর ভাইপো মাদার্শা ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম সেলিম’র বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে করা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ডের টাকা তিনি জমা দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও অবৈধ অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দণ্ডিত অপরাধী হিসেবে তিনি এ পদে থাকতে পারেন না, চেয়ারম্যান পদ থেকে তার অপসারণ চাই।

দ্বিতীয়ত নদভী সাহেবের এপিএস ও জেলা পরিষদের সদস্য এরফানুল করিম আড়াই হাজার একর বনভূমি দখল করে লেক নির্মাণের দায়ে অভিযুক্ত। বন বিভাগ প্রমাণসহ তাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। তার লাইসেন্স করা অস্ত্রের গুলিতে স্থানীয় একজন নিরীহ নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাত হারিয়েছেন। আমরা তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল ও জেলা পরিষদ সদসস্য পদ থেকে তার অপসারণ দাবি করছি।

তৃতীয়ত, নদভী’র শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরী তার জিম্মায় থাকা সরকারি জব্দ করা বালু বিক্রি করার দায়ে অভিযুক্ত এবং সে অভিযোগ প্রমাণিত। তিনি গরিব কৃষকদের নির্বিচারে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করে জমি দখল করেছিলেন। সে মামলা পিবিআই তদন্ত করছে। সরকারি জিম্মার বালু চুরির দায়ে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত রুহুল্লাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বড়হাতিয়া ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ সাইফুদ্দীন সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ লিটন ও জসিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম শিকদার, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুনুর রশিদ, সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা বেগম, সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জুবায়ের।

আরও উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর লালু, সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদ, চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জুনু, আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন রশিদ, কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব, এওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ, কাঞ্চনা ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক উজ্জ্বল ধর, সাতকানিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, লোহাগাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন রকি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সদস্য মিজানুর রহমান, সাতকানিয়া কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মন্নান।

আরএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!