ছাত্রদলের ৫ নেতার মধ্যে ৪ জনের কারামুক্তি

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বর থেকে আটক হওয়া ছাত্রদলের ৫ নেতার মধ্যে ৪ জন কারামুক্ত হয়েছেন। নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর অন্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তিনি কারামুক্ত হতে পারেন নি।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাত্রদল নেতারা কারামুক্ত হন। কারামুক্ত হয়ে তারা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সাথে দেখা করেন।

কারামুক্ত নেতারা হলেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মাহমুদ আলম সরদার, সহসম্পাদক মাঈন উদ্দিন নিলয়, ঢাকা মহানগর পূর্বের সহসম্পাদক মো. ইব্রাহিম ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার ছাত্রদল নেতা বেলাল উদ্দিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ সাব্বির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আমাদের ৫ নেতার মধ্যে ৪জন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম আদালতে জামিন না পাওয়ায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কমিটির ৪ সদস্যের টিমের সাথে ২৮ জানুয়ারি বিকেল থেকে মতবিনিময় করেন নগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওই সভায় নগর ছাত্রদলের ১০১ জন নেতাকর্মী বক্তব্য রাখেন। নগর ছাত্রদলের সাথে কেন্দ্রীয় টিমের মতবিনিময় শেষ হওয়ার পর দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল আলম শহীদের নেতৃত্বে ৪ নেতা কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে বসেছিলেন। এরপরই পুলিশ তাদের আটক করে।
ছাত্রদল নেতাদের দাবি, পুলিশ অতর্কিত গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, লাঠিচার্জ করে। এতে ছাত্রদলের ১২ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশের সাথে মারামারি এবং নাশকতা সৃষ্টির ঘটনায় ৫ জনকে আটক দেখিয়ে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধার দেখানো হয়েছে ২টি তাজা ককটেল, ৪টি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, ১৫টি ভাঙ্গা ইটের টুকরো, ৪টি কাঠের বাটাম ও ১০টি বাঁশের লাঠি।

মামলায় নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজীর সিরাজ উল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, যুবদলের সহ-সভাপতি ফজলুল হক সুমন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য শেখ রাসেল, নগর ছাত্রদল নেতা মহসিন কবির আপেল, সামিয়াত আমিন জিসানসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।

চট্টগ্রামের তৃণমূল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করতে ২৪ জানুয়ারি রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মোসাদ্দেক সাফির নেতৃত্বে ৪ সদস্যের টিম চট্টগ্রাম আসেন। ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাথে বৈঠক করে। ২৬ জানুয়ারি বিরতি দিয়ে ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাথে বসেছিল। বৈঠক শেষে নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে আহত হন উত্তর জেলা সভাপতি জাহিদুল আফসার জুয়েল। ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের সাথে তারা বৈঠক শেষ করে দক্ষিণ জেলা নেতাদের সাথে বসার পরই আটক হন দুই কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৫ জন ছাত্রদল নেতা। এই ঘটনার পর চট্টগ্রাম ছাত্রদলের কমিটি গঠনের অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি।

এফএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!