চুয়েটের হলে ডাইনিং ফির পাগলাঘোড়া, ১৫০০ টাকার ফি এখন ২৪০০

গত নয় মাসে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আবাসিক হলগুলোর ডাইনিং ফি তিন দফা বেড়েছে। ১৫০০ টাকা থেকে ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪০০ টাকায়। অথচ ফির পরিমাণ বাড়লেও বাড়েনি খাবারের মান।

সর্বশেষ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) শেখ রাসেল হলের নতুন মাসের ডাইনিং ফির নোটিশ প্রকাশিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই নোটিশে নতুন মাসের ডাইনিং ফি ২১০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা করার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। এভাবে হুট করে ডাইনিং ফি বাড়ানোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনামুখর হয়ে ওঠে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।

করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের আগে অনেক বছর ধরে হলগুলোর ডাইনিং ফির পরিমাণ ছিল ১৫০০ টাকা। বন্ধের পর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ দেখিয়ে গত জানুয়ারি মাসে ডাইনিং ফির পরিমাণ বাড়িয়ে ১৮০০ টাকা করা হয়। পরের মাসে আবারও এ ফি বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করা হয়। এরপর আবার সেটা ২৪০০ টাকা করা হয়।

শেখ রাসেল হলে চলমান মাসের ডাইনিং ম্যানেজারদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, সারাদেশে যে হারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে চুয়েট সংলগ্ন পাহাড়তলী বাজারে তার চেয়ে বেশি বাড়ে। স্থানীয় সিন্ডিকেটের কারণে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে খাবার কিনতে হয়। তাই বারবার ফি বাড়িয়েও দামের সাথে সমন্বয় করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে চুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, দ্রব্যমূল্য ও খাবারের মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডাইনিং ফি আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি এখন খাবারের মান আগের চেয়ে বাড়বে। শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ভর্তুকি দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে সমন্বয় রাখা হয়। কিন্তু চুয়েটে হলগুলোর ডাইনিংয়ে কোনো ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!