অল্প বৃষ্টিতেই দুর্ভোগ পতেঙ্গাজুড়ে, হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলতে হয় পথ

অল্প বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। অলিগলিতেও হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে পথ চলতে হয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময় নিচতলার বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে পানি।

স্থানীয়রা জানান, নিয়মিত নালা-নর্দমা পরিষ্কার হয় না। যত্রতত্র পড়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা, রয়েছে নিয়মিত তদারকির অভাব। সেইসঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। খালের মুখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেই এ নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।

জানা গেছে, ছড়িহালদা মোড় থেকে পশ্চিমে চরপাড়া সংযোজন সড়কটি সংস্কার করার পরও প্রায় এক যুগ ধরে রয়ে গেছে জলাবদ্ধতার এ সমস্যা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজে কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না এলাকাবাসী। প্রশ্ন ওঠেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলছড়ি পাড়া ও মসজিদের পরে গরুর ফার্মের সামনে, বাটারফ্লাই পার্ক সংলগ্ন এলাকা, ছড়িহালদা মোড় থেকে পশ্চিমে চরপাড়া সংযোজন সড়ক এবং ছড়িহালদা থেকে হিন্দুপাড়া রোডে সকাল থেকে জমে আছে হাঁটু পরিমাণ পানি।

দক্ষিণ পতেঙ্গার ছড়িহালদা মোড় থেকে পশ্চিমে চরপাড়া সংযোজন সড়ক এবং ছড়িহালদা থেকে হিন্দুপাড়া সড়কের আংশিক অংশ ৪০ ও ৪১ নম্বর দুটি ওয়ার্ডে। ফলে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে একে অন্যের আশায় থাকে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ পতেঙ্গা ফুলছড়িপাড়ার এক স্থানীয় যুবক বলেন, ‘আগে বৃষ্টির পানি নিয়মিত খাল ও ড্রেন দিয়ে নেমে গেলেও এখন সেই খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দায়। এলাকাবাসীদের সচেতনতার অভাব এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের কারণে খালের সংস্কার হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানির গতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে বরাবরেই পিছিয়ে এলাকার নীতি নির্ধারকরা।’

ফুলছড়িপাড়ার গৃহিণী নূরজাহান বেগম বলেন, ‘জলাবদ্ধতার যন্ত্রণায় খুব কষ্টে আছি। ঘর নিচু হওয়ায় বর্ষায় বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে ঘরে। এতে রান্নাসহ সাংসারিক কাজ করতে খুব কষ্ট হয়।’

এ বিষয়ে দক্ষিণ পতেঙ্গা ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মেদ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আউটার রিং রোড, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে দক্ষিণ পতেঙ্গায়। খালের মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি সিটি মেয়রকে জানিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব, জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনিও কাজ করে যাচ্ছেন। আমি সবসময় জনগণের ভোগান্তি দূর করতে আন্তরিক।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!