চমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলার জেরে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস দখলে রাখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার জেরে চকবাজার থানা এলাকায় ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে চকবাজার গুলজার মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২ ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে, হাতাহাতির ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এ কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

রাতের সংঘর্ষে আহত হওয়া দুইজন হলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ওসমান ফরহাদ ও চমেক ছাত্র সংসদের (চমেকসু) সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিক। তারা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।

এই ঘটনায় রাতেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চমেক ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ১১ ছাত্রলীগ নেতা হলেন অভিজিৎ দাশ, আতাউল্যা বোখারী, ইমন শিকদার, খোরশেদ ইসলাম, তৌফিকুর হাসান, সারোয়ার ফারুকী, কেএম তানভীর, ওবাইদুল হক, বুলবুল আহমেদ, শাহরিয়ার ইসলাম ইমন, মাহমুদুল ইসলাম ও সৈকত। তারা সবাই শিক্ষ উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চমেক ছাত্রলীগের দুইজন আহত হওয়ার ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে এই ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকালে সাড়ে ৪ টায় চমেক হাসপাতালের ছাত্রাবাসের ক্যান্টিনে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। ওই হাতাহাতির ঘটনায় রাতে দুই পক্ষই চকবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারীরা থানায় অভিযোগ জমা দিয়ে বের হওয়ার সময় গুলজার মোড়ে ফরহাদ ও প্রান্তিকের সঙ্গে দেখা হয় তাদের। আ জ ম নাছির উদ্দীনের এই দুই অনুসারিও থানায় অভিযোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এসময় আবারও তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এর সূত্র ধরে সেখানে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।

এআরটি/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!