চবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চলছে মান্ধাতার আমলের নিয়মে

ব্যক্তিগত বই নিয়ে ঢোকার অনুমতি নেই

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ব্যক্তিগত বই নিয়ে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে গ্রন্থাগারিক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা লেখেন, প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে আসে। কিন্তু ব্যক্তিগত বই নিয়ে লাইব্রেরির ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না বলে অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।

অপরদিকে লাইব্রেরির সন্মুখে ব্যক্তিগত বই নিয়ে পড়াশুনা করার যে জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে তা পড়ার উপযোগী নয়।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মুছাদ্দিক বলেন, ‘লাইব্রেরিতে সভ্যতার হাজার লিখিত-অলিখিত সব ইতিহাস ঘুমিয়ে আছে। জ্ঞানের তৃষ্ণা নিবারণে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থীর আগমন ঘটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে। কিন্তু প্রাচীন মান্ধাতা আমলের নিয়মে লাইব্রেরি পরিচালনা হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী রিক্ত হস্তে ফিরে যায়।’

‘লাইব্রেরিতে ব্যক্তিগত বই নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় প্রতিযোগিতার বাজারেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত পিছিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই লাইব্রেরির ভিতরে শিক্ষার্থীরা যেন ব্যক্তিগত বই নিয়ে প্রবেশের সুযোগ পায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম মাহফুজুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত বই নিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানাব।’

এমআইটি/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!