চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৩০ শয্যার আরেকটি আইসিইউ ওয়ার্ড চালু

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ড উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে তিনি এই ওয়ার্ড উদ্বোধন করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাত্র হিসেবে এটি উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে এই ইউনিট ভূমিকা রাখবে।

চমেক হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের পেছনে থাকা পূর্বের মানসিক ওয়ার্ডে নতুন আইসিইউ ওয়ার্ডটিতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম।

এই মেডিকেল প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৬৩ বছরে মাত্র ২০টি আইসিইউ ছিল চমেক হাসপাতালে। নতুন করে ৩০টি আইসিইউ চালু হওয়ায় মোট আইসিইউর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০টিতে।

মেডিকেলের নিচতলায় অবস্থিত ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের পেছনে থাকা পূর্বের মানসিক ওয়ার্ডে নতুন আইসিইউ ওয়ার্ডটিতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম। সর্বশেষ করোনা মহামারির সময় চট্টগ্রামে আইসিইউ সংকট দেখা দেয়।

এদিকে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ণ ইউনিট কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন হতে যাওয়া ১৫০ শয্যার বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জন্য নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, বার্ণ ইউনিট নিয়ে অনেকদিন ধরে যুদ্ধ করে আসছি। আমি এই মেডিকেল কলেজের ছাত্র। আমার একটা স্বপ্ন-এখানে যেন একটা বার্ণ ইউনিট হয়। আমরা কাজ মোটামুটি গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। চাইনিজদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ আছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রি-একনেক মিটিংয়ে বার্ণ ইউনিটের বিষয়টি তোলা হবে। এরপর ডিপিপি পাস হলেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। সবাই সাহায্য করলে দ্রুত ১৫০ শয্যার বার্ণ ইউনিটের কাজ শুরু হবে।

স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, পূর্ণাঙ্গ বার্ণ ইউনিট হলে চট্টগ্রামে আগুনে পোড়া রোগীরা উন্নত চিকিৎসা পাবে। এ বার্ণ ইউনিটে অত্যাধুনিক আইসিইউ, এইচডিইউ ও ওটি সুবিধা থাকবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আরএম/আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!