থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী বছর চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে একটি ‘রোড শো’ আয়োজন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চেম্বার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদী সুমিতমোর একথা জানান।
এদিকে সমুদ্রপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে। এ বিষয়ে থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, এই চুক্তি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বাণিজ্য ভালো অবস্থানে থাকলেও পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের কারণে তা কমেছে। ২০১৯ সালে ৭৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি হয় ৯৭৩ মিলিয়ন ডলারের। তিনি এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সে দেশে বিভিন্ন প্রদর্শনী, ট্রেড শো ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের পরিচিতি বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও র্যানং বন্দরে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে আমদানি-রপ্তানির সময় ৩-৪ দিনে এবং পরিবহন ব্যয় অর্ধেকে নেমে আসবে।
চেম্বার সভাপতি থাই রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে জানান, থাইল্যান্ডের মৎস্য খাতে ৫০ হাজার বাংলাদেশি জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করা, সে দেশের শ্রম বাজারের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন, চট্টগ্রাম থেকে চিয়াংমাই ও ব্যাংকক সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করা, জ্বালানি খাতে প্রস্তাবিত ২৫০ মিলিয়ন ডলারের থাই বিনিয়োগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশই উপকৃত হবে।