চট্টগ্রামে রেলের ডিটিওর হাতে কর্মচারী লাঞ্ছিত, বিচার গেল ডিআরএমের কাছে

চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার (ডিটিও) হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন এক বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মচারী। এর প্রতিবাদে রেল কর্মচারীরা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) বরাবরে বিচার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার বিচার না হলে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ফাইল সংক্রান্ত বিষয়ে পাহাড়তলী ডিপিও দপ্তরের ওয়েম্যান আব্দুল খালেককে (৬০) বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ ইমরান লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। পরে অন্যান্য কর্মচারীরা ধরে ফেললে রক্ষা পান আব্দুল খালেক। এরপর বুধবার (২১ ডিসেম্বর) অন্যান্য কর্মচারীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে বিভাগীয় কর্ম ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বরাবরে অভিযোগ দেন।

রেল কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিআরএম দপ্তরের প্রধান সহকারী আবুল বাশারকে পরিবহন কর্মকর্তা জীবিত এক অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারীর পেনশন স্ত্রীর নামে অন্তর্ভুক্ত করে ফাইল তার কাছে পাঠাতে বলেন ডিটিও। নিয়ম অনুযায়ী পেনশন ভোগকারী ব্যক্তি জীবিত থাকাকালীন তার স্ত্রী পেনশন পাবেন না। সেই নিয়মের কথা উল্লেখ করে ওয়েম্যান আব্দুল খালেককে দিয়ে ফাইলটি পাঠান বাশার। এতে পরিবহন কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে গার্ডকে দিয়ে লাঠি আনেন। পরে তিনি লাঠি হাতে খালেককে মারতে গেলে আশপাশের কর্মচারীরা ধরে ফেলেন।

রেলের অন্যান্য কর্মচারীরা জানান, পরিবহন কর্মকর্তার লাঠি হাতে মারতে আসার বিচার না হলে আমরা কর্মবিরতিতে যাবো।

ভুক্তভোগী কর্মচারী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি কোনো ভুল করলে আমাকে বিভাগীয় শাস্তি অথবা চার্জশিট দিতে পারেন। তা না করে তিনি লাঠি নিয়ে মারতে আসেন আমাকে। আমি আর এক বছর পর অবসরে যাবো, বৃদ্ধ বয়সে এ ঘটনা অপমানজনক।’

বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবারের ঘটনায় শ্রমিক নেতাসহ শ্রমিকরা সবাই আমার কাছে বিচার চেয়েছেন। কর্মকর্তার এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!