চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়ে দ্বিগুণ

২৪ ঘণ্টায় ৩০১ শনাক্ত, ১০ মৃত্যু

মহামারী করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা চট্টগ্রামে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা আবার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩০১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে এদিন মৃত্যু আবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে শনাক্ত ছিল ৩৪৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে নগরীতে ২ জন এবং উপজেলা পর্যায়ের ৮ জন। অন্যদিকে শনাক্তদের মধ্যে নগরের ১৬১ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১৪০ জন রয়েছেন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত গিয়ে দাঁড়াল ৯৬ হাজার ২০২ জনে। এর মধ্যে নগরের ৭০ হাজার ৪৮২ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৫ হাজার ৭২০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ১৫৬ জন। যাদের মধ্যে নগরের ৬৬২ এবং উপজেলার বাসিন্দা ৪৯৪ জন।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) চট্টগ্রামের করোনার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার হাসপাতাল ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে মোট ১ হাজার ৯১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ৫৯২ জন।

উপজেলা পর্যায়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে রাউজানে ৩৬ জন, হাটহাজারীর ২৪ জন, সাতকানিয়ায় ২০ জন, ফটিকছড়িতে ১৫ জন, আনোয়ারায় ১০ জন, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালীতে ৮ জন করে, সীতাকুণ্ডে ৫ জন, পটিয়ায় ৩ জন, রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই ও বাঁশখালীতে ১ জন করে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তবে এদিন সন্দ্বীপে কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনার বিষ পাওয়া যায় ৬৫ জনের দেহে। যাদের ২০ জন নগরের এবং ৪৫ জন বিভিন্ন উপজেলার। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৯২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৬ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৫২ জন নগরের এবং ৫৪ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ২০ জন এবং উপজেলার ২২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৪২ জনকে করোনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে ২০ জন নগরের ও ২২ জন উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করেও কারও নমুনায় পজিটিভ পাওয়া যায়নি।

এদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে করানো এন্টিজেন টেস্টের কোন রজোল্ট পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৪ জন ও উপজেলার ২ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। তাতে নগরের ১০ জন এবং উপজেলার ২ জনের দেহে ভাইরাসটির জীবাণু পাওয়া যায়। শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৬ জন ও উপজেলার ১ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জনের দেহে করোনার বিষ পাওয়া গেছে। যাদের ১৬ জনই নগরের, বাকি ৩ জন উপজেলার।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!