মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আসলে কে?

হেফাজতের নতুন ভারপ্রাপ্ত আমির

বাংলাদেশে দেওবন্দ আন্দোলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচনা করা হয় শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে। তিনিই এখন থেকে হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পদে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামে। তার পিতা হারুন বাবুনগরীও ছিলেন একজন খ্যাতিমান ইসলামি পণ্ডিত ও বাবুনগর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।

ফটিকছড়ির আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের মহাপরিচালক মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আত্মীয়তার দিক থেকে হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর আপন মামা

মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে যান। ১৯৫৯ সালে দেওবন্দ মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন।

দেওবন্দে তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির কাছে হেদায়া আখেরাইনের সর্বশেষ পাঠ গ্রহণ করেন এবং ফখরুদ্দীন আহমদ মুরাদাবাদীর কাছে সহিহ বুখারী, ইব্রাহিম বলিয়াভির কাছে সহীহ মুসলিম ও সুনান আত-তিরমিজী এবং ফখরুল হাসানের কাছে সুনানে আবু দাউদ, জহির আহমদের কাছে তহাবী শরীফ ও বশির আহমদের কাছে মুয়াত্তা মুহাম্মদ পড়েছেন।

দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দেশে ফিরে আসার পর পিতা হারুন বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে হারুন বাবুনগরী, মুহাম্মদ মুছা, সুফি আব্দুল জব্বার ও আব্দুল হক প্রমুখের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শক্রমে তিনি বাবুনগর মাদ্রাসার মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।

২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি এই সংগঠনের সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ৭ জুন হেফাজতের ঘোষিত কমিটির ১৬ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটিরও প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। দলটি বিএনপি জোট ছাড়লে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন। এর আগে আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতের কমিটিতে সিনিয়র নায়েবে আমির হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

চলতি বছরের ৪ আগস্ট মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর স্ত্রী মরিয়ম খাতুন ৭৬ বছর বয়সে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী তিন ছেলে ও আট মেয়ের জনক।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!