চট্টগ্রামে করোনা ছুটছে ঊর্ধ্বগতিতে, আরও তিনশ ছুঁই ছুঁই শনাক্ত

ঊর্ধ্বগতিতে ছুটছে চট্টগ্রামের করোনা সংক্রমণের হার। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের অনীহা, করোনা টিকা আসার পর উদাসীনতা চলে আসাসহ নানা কারণে চট্টগ্রামের করোনার রূপ ক্রমশ ভয়ংকর হচ্ছে বলে জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের খাতায় নাম লেখালেন আরও ২৯০ জন। এদের মধ্যে ২৫৪ জনই নগরের। বাকি ৩৬ জন চট্টগ্রামে বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট শনাক্তের সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ালো ৩৯ হাজার ৯৯৬ জনে। এদের মধ্যে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৬৫ জন। আর করোনার কাছে হার মেনেছেন ৩৮৬ জন। যাদের মধ্যে ২৮৩ জন নগরের ও ১০৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বুধবার (৩১ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজসহ চট্টগ্রামের আটটি ল্যাবে ২ হাজার ৯২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২৯০ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫৪ জন নগরের ও ৩৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১ হাজার ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় ৫০ জনের দেহে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৭ জনের জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সাতজনের মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।

শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৩৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জন এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জন করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অন্যদিকে, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনের করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!