চট্টগ্রামে ইলিশ উৎপাদনে রেকর্ড, বৃদ্ধি পেয়েছে ইলিশের আকারও

চট্টগ্রামে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৭ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৬২ মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। যা গত দুই অর্থ বছরের তুলনায় ১ হাজার ২৭৩ মেট্রিকটন বেশী।

এর আগে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৫ হাজার ৬৮৩ দশমিক ৭১ মেট্রিকটন এবং ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৯৫৬ দশমিক ৬৩ মেট্রিকটন। গত অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশই ছিল ইলিশ।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা কার্যালয়ে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

ফারহানা লাভলী বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদীতে জাটকা নিধন বন্ধ ও মা ইলিশ রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তা আকারেও বড়। সরকারী ভাবে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ শনিবার রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে আবার মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ইলিশের অভয়াশ্রম সৃষ্টি ও অভয়াশ্রমে জাটকা ধরা বন্ধ করা, প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, নভেম্বর থেকে জুন ৮ মাস জাটকা ধরা বন্ধ করা, সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করাসহ নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া ও ফিনফিশ উৎপাদনে যথাক্রমে অষ্টম ও ১২তম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা মাছ নিয়ে তাদের ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশরিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০২০’ শিরােনামে প্রকাশিত বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলেছে, স্বাদু পানির উন্মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। এছাড়া বাংলাদেশ গেল বছর মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করে। সারাবিশ্বে প্রাকৃতিক উৎস থেকে মােট ৯০ লাখ টন মাছ উৎপাদন হয় যেখানে বাংলাদেশে উৎপাদন হয় ১০ লাখ টন। এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশি প্রজাতির মাছের উন্নতজাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদন বেড়েই চলছে। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে।’

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্তিত ছিলেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক অধীর চন্দ্র দাস, সিনিয়র সহকারী পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার, মিজানুর রহমান, সমুদ্র বন্দর কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা সারহা নাহিন।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!