চট্টগ্রামকে দুই মাসে পলিথিনমুক্ত করতে চায় প্রশাসন

আগামী দুই মাসের মধ্যেই চট্টগ্রামকে পলিথিনমুক্ত শহর করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এই সময়ে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করবে সিটি কর্পোরেশন। এরপর কেউ ব্যবহার করলে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা দুটি। পলিথিন উৎপাদক পর্যায়ে জরিমানায় বেশি নজর দেবে জেলা প্রশাসন। পলিথিনের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করার কথাও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

পাশাপাশি যত্রতত্র ময়লা ফেললে জরিমানা গুণতে হবে এবং যার সামনে ময়লা-আবর্জনা পাবো, তাকেই জরিমানার আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

রোববার (৩০ এপ্রিল) আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট চট্টগ্রাম বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান এসব উদ্যোগের কথা জানান।

প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ চলছে জানিয়ে মেয়র রেজাউল বলেন, ‘পলিথিন-প্লাস্টিকের কারণে কর্ণফুলী নদী মৃত্যুর মুখে। কর্ণফুলী না বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে না। তাই আগামী তিন মাসের মধ্যে পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করব। আর নদী অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের পাশাপাশি পুনর্দখল রোধেও পদক্ষেপ নেবো।’

তিনি বলেন, ‘বন-পাহাড়-নদী-সমুদ্র নিয়ে প্রকৃতির রাণী চট্টগ্রাম। তবে আমরাই সুন্দর চট্টগ্রামকে হীনস্বার্থে বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলছি। আমরা শুধু বস্তুগত উন্নয়ন নিয়ে ভাবছি কিন্তু, নাগরিকদের জীবনমান বিশেষ করে অবসর বিনোদন আর পরিবেশের ভারসাম্যের কথা ভাবছি না।’

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘চট্টগ্রামকে স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে মেয়রের পরিবেশ নিয়ে জানানো উদ্বেগের সমাধানে কাজ করবো। চট্টগ্রামের মেয়রের সহযোগিতায় আমি পলিথিনের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করব। পলিথিনবিরোধী অভিযানে বিক্রেতার চেয়ে উৎপাদক পর্যায়ে জরিমানায় বেশি মনোযোগ দেয়া হবে। কারণ, পলিথিনের সরবরাহ না থাকলে মানুষ পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে বাধ্য হবে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামকে ঢেলে সাজাতে সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। একদিকে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালাবে, অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া ভূমিতে পার্ক, খেলার মাঠ আর রাস্তা বানাবে সিটি কর্পোরেশন। জলাধার রক্ষা, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ফুটপাথ উদ্ধারসহ চট্টগ্রামকে স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে দুটি সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে।’

আরএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!