গাড়ির রং ধরিয়ে দিল ঘাতক চালককে, পালিয়েছিল ভবঘুরেকে চাপা দিয়ে

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় এক ভবঘুরে পথচারীকে সন্ধ্যায় চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় একটি ঘাতক কাভার্ড ভ্যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাম না জানা লোকটির। আর ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ অস্পষ্ট থাকায় দেখাও যাচ্ছিল না গাড়ির নম্বর কিংবা কোম্পানির নাম। শুধুমাত্র গাড়ির রং দেখে রাতভর অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় সেই ঘাতক চালক ও কাভার্ড ভ্যানটি। আটক চালককে পাঠানো হয় শ্রীঘরে।

ঘটনাটি ঘটেছে বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা ফিউচার সেন্টারের বিপরীতে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে দীর্ঘ অভিযানে কাভার্ড ভ্যানটির সন্ধান বের করে রোববার (১ অক্টোবর) আটক করা হয় চালককে ও জব্দ করা হয় কাভার্ড ভ্যান।

আটক চালকের নাম মো. আজমত আলী (৬১)। তিনি পাবনা জেলার ভেড়ামারা থানার বাসিন্দা।

এদিকে নিহতের পরিচয় জানতে আঙুলের ছাপ ও ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক কিশোর মজুমদার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে যায়, গিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিটির লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠাই। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হলেও ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি স্পষ্ট করে বুঝার উপায় ছিল না। তাই শুধুমাত্র কাভার্ড ভ্যানটির রং দেখে বন্দর এলাকার আশপাশের কাভার্ড ভ্যানগুলো চেক করি। পরবর্তীতে জানতে পারি গাড়িটি রোকসানা ট্রান্সপোর্ট নামের একটি কোম্পানির।’

কিশোর আরও বলেন, ‘ঠিকানা জানার পর ডিপো থেকে ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি আটক করতে পারলেও পালিয়ে যান চালক। পরে দীর্ঘ অভিযান চালিয়ে রোববার রাত ১০টায় ফকিরহাট এলাকা থেকে চালক আজমত আলীকে আটক করা হয়।’

এই বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক ভবঘুরের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘাতক চালককে আটক করে আদালতে পাঠাই।’

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!