হার্টে রিং পরাতেই নারীর মৃত্যু ম্যাক্স হাসপাতালের ওটিতে, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসা’য় এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হৃৎপিণ্ডে রিং পরানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই হঠাৎ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই রোগী।

হার্টে রিং পরাতেই নারীর মৃত্যু ম্যাক্স হাসপাতালের ওটিতে, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ 1

সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ওই নারী মারা যান। ৫০ বছর বয়সী ওই নারীর নাম রিজিয়া বেগম। তার বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে। স্বামীর নাম মৃত বদিউল আলম।

রিজিয়া বেগমের দেবর মোহাম্মদ হারুন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, তার ভাবী রিজিয়া বেগমের বুকে হঠাৎ ব্যথা উঠলে তাকে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে দেখানো হয়। সেখানে এনজিওগ্রাম করানোর পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। এরপর তাকে ম্যাক্স হাসপাতালে ডা. এস কে মল্লিকের কাছে নিয়ে যান স্বজনরা।

হারুন বলেন, ম্যাক্স হাসপাতালে ডা. এস কে মল্লিক আবার এনজিওগ্রাম করান রিজিয়া বেগমের। সেখানে তার হার্টে মোট তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এরপর রিজিয়া বেগমকে হার্টে রিং লাগানোর পরামর্শ দেন ডা. মল্লিক।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে ডা. এস কে মল্লিকের তত্ত্বাবধানে রিজিয়া বেগমকে হার্টে রিং পরানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে ওটি থেকে বের হয়ে ডা. মল্লিক রিজিয়ার স্বজনদের জানান, রোগীর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই রক্তের প্রয়োজন।

এরপর স্বজনরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে রক্ত জোগাড় করে নিয়ে এলেও সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডা. এস কে মল্লিক জানান, রিজিয়া বেগম অনেক আগেই মারা গেছেন।

জানা গেছে, রিজিয়া বেগমের দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে তার আত্মীয়-স্বজন এসে ম্যাক্স হাসপাতালে জড়ো হয়ে জাতীয় জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন। তারপর সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর এসে ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন রিজিয়া বেগমের স্বজনরা। ওই সময় দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যান ডা. এস কে মল্লিক।

এ বিষয়ে জানতে ম্যাক্স হাসপাতালের ম্যানেজার অসিত দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আসলে রিং পরানোর পর রোগী আর স্ট্যাবল করেনি। সেটা তো ডাক্তারের দোষ না। তারপরও ম্যানেজমেন্ট রোগীর স্বজনদের আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।’

তিনি বলেন, ‘বিল ডিউ (বকেয়া) রেখেই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!