চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার হারুন বাজার এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নিহত হয়েছে। এসময় ১টি দেশীয় এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৫ জুন) ভোর রাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের নাম মো. আব্দুল মজিদ (৩০) বৈলছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনা পাড়ার লেদু মিয়ার পুত্র।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ এপ্রিল বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনার এমদাদিয়া পাড়ার এক কিশোরী বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া ঘোনা পাড়ায় কাজের সন্ধানে আসে। সেখানে খালেদা বেগম নামের এক মহিলার বাড়িতে ইফতার শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাত সাড়ে ৮টায় দিকে তার পথ গতিরোধ করে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব (৪৫), মো. আব্দুল মজিদ (৩০) ও অজ্ঞাতনামা এক যুবকসহ ৩ জন জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন গ্রাম্য ডাক্তার শহীদুল ইসলাম। কিশোরীর চিৎকারে গণধর্ষণের ঘটনা দেখতে পেয়ে ওই ডাক্তার ধর্ষকদের কবল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। পরে ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে ওই ৩ জনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, গণধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি মো. আব্দুল মজিদ র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসএ