খেলা শুরুর সাত মিনিটের মাথায় আবারও বৃষ্টির হানা

সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে যেন খেলা আর মান বাঁচাতে মাঠে নামে বৃষ্টি। বৃষ্টি ‘ক্লান্ত’ হয়ে পড়লে দুপুর ঠিক ১টায় মাঠে নামে সাকিব আর সৌম্য। কিন্তু তাদেরকে বেশিক্ষণ ব্যাটিং করার সুযোগ না দিয়ে বৃষ্টি নিজেই আবার বাংলাদেশের হয়ে ‘ব্যাটিং’ শুরু করে দেয়। বাংলাদেশ মাঠে ছিল মাত্র সাত মিনিট। তারপরই ফের বৃষ্টি। মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন খেলোয়াড়রা। বৃষ্টি এত দ্রুত নামলো যে উভয় দলের ক্রিকেটার এবং আম্পায়াররা দৌঁড়ে মাঠ ছাড়লেন।

পুরো স্টেডিয়ামের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেলো! সকালের ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির দেখা মিললো আরেকবার দুপুরে। উইকেট কাভারে ঢাকা পড়লো আরেকবার। সেই সঙ্গে এই টেস্টের ভবিষ্যতও আঁধারে। ৭ মিনিটের এই খেলায় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান জমা হলো মাত্র ৭। সবমিলিয়ে মাত্র ১৩ বল পরেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেলো। যে হারে বৃষ্টি নামলো তাতে দ্বিতীয়দফা খেলা শুরু কখন হয় তা নিয়ে বড় সংশয় দেখা দিলো।

একেবারে যাকে বলে ঝুম বৃষ্টি, তারই দেখা মিললো দুপুরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। গালে হাত দিয়ে ড্রেসিংরুমে বসে হতাশায় আফগানিস্তান। আর বাংলাদেশ দলের কানে বৃষ্টির শব্দ আগে কখনোই এতো সুমধুর মনে হয়নি! ম্যাচ জিততে শেষ ইনিংসে বাংলাদেশকে করতে হবে আরো ২৫৫ রান। হাতে জমা ৪ উইকেট। খেলা বাকি আরো ৬১.৩ বল। আর আফগানিস্তানের জয়ের জন্য চাই আরো ৪ উইকেট।

জয়-পরাজয়ের এই সম্ভাবনার মধ্যে শরৎতের বৃষ্টি এখন সম্ভাব্য ড্র’র ভুমিকায়!

এর আগে টেস্টের প্রথম দিনে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। আর প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রশিদের ঘূর্ণিতে মাত্র ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। আর টাইগারদের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৮ রানের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!