কাউন্সিলর প্রার্থী ‘তামাকের ব্যাপারী’ আবদুস সবুর লিটনের ৭ ব্যবসা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সবুর লিটনের একটি তামাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ একক ও যৌথ মালিকানায় মোট ৭টি ব্যবসা রয়েছে। সবমিলিয়ে ৯ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৬৭৫ টাকার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির মালিক এই প্রার্থীর ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

তবে প্রশ্ন উঠেছে এত সম্পত্তির মালিক হয়েও মাত্র ৫০ হাজার টাকায় কেন টেলিভিশন, ফ্রিজ ও এসি ব্যবহার করেন তিনি? অন্যদিকে সোফাসেট, চেয়ার, টেবিল-আলমিরাও মাত্র দুই লাখ টাকার? নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া লিটনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন সব বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামায় লিটনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার সাতটি ব্যবসার প্রথমটি সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘তারা ট্রেডার্সে’র মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী তামাক ও বৈধ মালামাল সরবরাহ করা হয়। এছাড়া ‘তারা ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো’ নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সিগারেট প্রস্তুত ও বিপণন করেন তিনি। এছাড়া ‘বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো’ নামে আরও একটি সিগারেট প্রস্তুত ও বিপণন কোম্পানির কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। তার অন্যান্য ব্যবসাগুলো হলো তারা মাল্টিমিডিয়া, তারা পেপার টোন প্রিন্টিং প্রেস, তারা বেভারেজ লিমিটেড।

কক্সবাজারের চকরিয়ার নিজস্ব তামাক ক্ষেতে কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সবুর লিটন।
কক্সবাজারের চকরিয়ার নিজস্ব তামাক ক্ষেতে কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সবুর লিটন।

অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় লিটন তার নগদ টাকা ৬ লাখ ৪১ হাজার ও ব্যাংক জমা ৫,২৬,২৯৯ টাকা আছে বলে উল্লেখ করেছেন। ইস্টার্ন ব্যাংকের মুরাদপুর শাখার তার নামে ৫ লাখ এফডিআর ও স্ত্রীর নামে একই ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় ১০ লাখ টাকার এফডিআর আছে। বিপরীতে নিটল মোটর্সের কাছে কিস্তিতে গাড়ি কেনা বাবদ ২৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার ঋণ রয়েছে তার।

এছাড়া একটি মোটর কার ও ৮টি ছোট-বড় কাভার্ড ভ্যান বাবদ ১ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার টাকা রয়েছে লিটনের। এছাড়া ব্যবসায়িক মূলধন বাবদ ২ কোটি ৯৬ লাখ ৯২ হাজার ১১ টাকার স্থাবর সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার রয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৮৩.১৬ শতক ও ৩৭৮.৯৪ শতকের দুটি জমি— যার মূল্য ১ কোটি ২৮ লাখ ৪১ হাজার ৩৬৫ টাকা। এছাড়া রামপুরে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা দামের ১৬ শতক কৃষি জমি আছে বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।

এর বাইরে অকৃষি জমি, বসতঘর বাবদ ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার। আর তার স্ত্রীর নামে ১৯.৭৫ শতক জায়গার ওপর ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি পুকুর রয়েছে রামপুরে। স্বর্ণ আছে মোট ৪৫ ভরি। লিটনের স্ত্রী কাছে নগদ ৩ লাখ ছাড়াও ব্যাংকে জমা আছে ২ লাখ ৭০ হাজার ২৮২ টাকা।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!