করোনা কেড়ে নিল আরও ৩২ প্রাণ, শনাক্ত ২৬১১

করোনাভাইরাসের মৃত্যুর মিছিলে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্ত হয়েছে আরও ৩২ জন। তাতে করে মৃত্যুর তালিকা ক্রমেই লম্বা হয়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৩৬৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৬১১ জনের। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৫৫ হাজার ১১৩। অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ২০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জনে।

শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক দৈনন্দিন বুলেটিনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি মোট ৮৪টি পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫২৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১১ হাজার ৭৩৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬০টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৬১১ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩২ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৩৬৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ২০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের, চারজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন সি‌লেট বিভা‌গের এবং একজন ছিলেন ব‌রিশাল বিভাগের। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ‌চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন। এর মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী সাতজন। এ পর্যন্ত মৃতদের ম‌ধ্যে দুই হাজার ৬৫৫ জন পুরুষ এবং ৭১০ জন নারী।
হাসপাতা‌লে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বা‌ড়িতে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

অন্যদিকে, সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যানুসারে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ১৫ হাজার ছুঁই ছুঁই—১৪ হাজার ৯৯১ জন। যাদের মধ্যে ১০ হাজার ৫৩৮ জন নগরের এবং চার হাজার ৪৫৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে তিনহাজার ৬১ জন সুস্থ হলেও করোনার কাছে হেরে গেছেন ২৪০ জন। যাদের ১৬৭ জন নগরের ও ৭৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!