করোনায় কাঁপছে চট্টগ্রাম, হাজার শনাক্তের সাথে ৪ জনের মৃত্যু

মহামারি করোনায় কাঁপছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। চলতি জানুয়ারি মাসে ষষ্ঠবারের মতো হাজারের ওপরে শনাক্তের দিনে করোনা কেড়ে নিল ৪ জনের প্রাণ। চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১.৯৭ শতাংশ হারে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৬৭ জন। শনাক্তদের মধ্যে ৮৮৭ জন নগরের ও ২৮০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ১৭ হাজার ২০৩ জন। এর মধ্যে নগরে ৮৫ হাজার ৫২৪ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩১ হাজার ৬৭৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩৫৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরে ৭৩০ এবং উপজেলায় ৬২৪ জন।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১৫টি ল্যাব এবং কক্সবাজারের ১টি ল্যাব মিলে ৩ হাজার ৬৫০ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৬৭ জনের।

ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিআইটিআইডিতে ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৩০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে এন্টিজেন টেস্টে ২৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শেভরনে ৫৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আরটিএলে ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ল্যাব এইডে ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং এশিয়ান স্পেশালাইড হাসপাতালে ১৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ২৮০ জনের মধ্যে সর্বাধিক রোগীর খোঁজ মিলে হাটহাজারীতে ৫৩ জন। এছাড়া, রাউজানে ৪০ জন, ফটিকছড়িতে ৩২ জন, রাঙ্গুনিয়া ও আনোয়ারায় ২৪ জন করে, পটিয়ায় ১৮ জন, বোয়ালখালী ও মিরসরাইয়ে ১৬ জন করে, চন্দনাইশে ১২ জন, সীতাকুণ্ডে ১১ জন, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে ১০ জন করে, সন্দ্বীপে ৮ জন, সাতকানিয়ায় ৫ জন এবং কর্ণফুলীতে ১ জন রয়েছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!