কমিটি ছাড়াই শেষ হলো চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের কাউন্সিল

সভাপতি পদে ২৭, সম্পাদক পদে ৬৫ নাম

চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের কাউন্সিল শেষ হলো কমিটি ঘোষণা ছাড়াই। চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলা যুবলীগের মতোই নগরের কমিটিও ঘোষণা করা হবে ঢাকা থেকে। তবে নগরের সভাপতি পদে ২৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৫ জনের নাম জমা পড়েছে।

কমিটি

৯ বছর পর হওয়া যুবলীগের এই কাউন্সিলের প্রথমদিকে সভাপতি পদের জন্য আবেদন জমা পরে ৩৪ জনের। এদের মধ্যে ছয়জন প্রার্থী নিজেদের আবেদন প্রত্যাহার করেন। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আবেদন জমা পড়ে ৭৩টি, পরে আটজন নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন।

সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশন। শেষ হয় রাত ১০টা ১০ মিনিটে।

কাউন্সিল দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরু থেকেই একজন প্রস্তাবনাকারী ও সমর্থনকারীকে নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সামনে আলাদা আলাদাভাবে নিজের পরিচয় দেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের সকল প্রার্থী। পরিচিতি পর্বের পর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য একজন করে নাম প্রস্তাবের অনুরোধ করেন পদ পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে। এজন্য ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময় পরও কারো নাম ঠিক করতে পারেননি নেতারা। তাই চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার মতোই কমিটি ঘোষণা না করেই শেষ হয় নগর যুবলীগের সন্মেলন।

কাউন্সিল অধিবেশনের সমাপ্তি বক্তব্যে দলটির চেয়ারম্যান পরশ বলেন, ‘আপনারা যেহেতু নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি, তবে কী আমরা নিলে আপনাদের কোনো আপত্তি আছে? তখন কাউন্সিলে উপস্থিত সকলেই হাত উঁচিয়ে পরশের কথায় সন্মতি জানান। এরপর শীঘ্রই কমিটি ঘোষণা হবে জানিয়ে সভা শেষ করে হল ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতারা।

এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে নগরীর পাঁচলাইশের একটি কনভেনশন হলে যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বিশেষ বক্তা ছিলেন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

বিএস/আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!