কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পিছিয়েছে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) এ শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল।
কক্সবাজার আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি থাকায় এ শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ আগামী ১৫ ডিসেম্বর দুদকের এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ও প্রদীপের জামিন আবেদনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২২ নভেম্বরও অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়। আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। গত ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র জমা দেয়। গত ১ সেপ্টেম্বর প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত অভিযোগ গঠন করেন। আদালত মামলাটির বিচার শুরু করারও আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রীর নামে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। চুমকির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল। যার মধ্যে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। বাকি ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে দুদক।
এর আগে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হন। এ ঘটনায় সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় প্রদীপ আসামী হয়ে গত ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ।
আরএম/এমএফও