এস আলমের সেন্ট্রাল অক্সিজেনের পর প্ল্যান্টেরও অনুমোদন পেল জেনারেল হাসপাতাল

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্ল্যান্ট স্থাপিত হলে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প গ্রুপ এস আলমের দেওয়া সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযোগটি সচল হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা মন্ত্রণালয়ের ওই কার্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ কিলো লিটার অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের উপযুক্ত প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। তবে প্ল্যান্টের সক্ষমতা অবশ্যই ২০ কিলো লিটারের হতে হবে যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও বেশী অক্সিজেন উৎপাদন করা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর অনুমোদন পেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কার্যাদেশও দিয়ে দিয়েছে। আশাকরি, সাধারণ রোগীদের অক্সিজেন সমস্যা খুব দ্রুত মিটবে। করোনা চিকিৎসায় আরও বেশি সুফল পাবেন রোগীরা।’

প্রসঙ্গত, ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউসহ বর্তমানে করোনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ১৪০ শয্যা। এস আলম গ্রুপের উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এতদিন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা যায়নি। যার কারণে এস আলমের দেওয়া সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযোগের সুবিধা পায়নি রোগীরা। এখন অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন হলে এস আলমের দেওয়া সেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযোগ ব্যবহার হবে।

অক্সিজেন সংকটে জেনারেল হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের অন্যান্য হাসপাতালে যখন প্রতিনিয়ত করোনা এবং শ্বাসকষ্টে রোগী মারা যাচ্ছিল তখন এগিয়ে আসে এস আলম গ্রুপ। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের উদ্যোগে জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতালে নিউজিল্যান্ডের তৈরি এয়ারবু হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা দেওয়া হয়। এরপর জেনারেল হাসপাতালে স্থাপন করা হয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযোগ।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!