এবার ধরা খেল শেভরন ডায়াগনস্টিক, ব্যবহার করে মেয়াদোত্তীর্ণ ল্যাব সামগ্রী

চট্টগ্রামের নামি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পাঁচলাইশের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাব। যেখানে ডাক্তারি পরীক্ষার ভালো রিপোর্ট পাওয়া যায় বলেই জানেন সাধারণ মানুষ। ভালো রিপোর্ট দেন বলেই অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ে দামও বেশি নেওয়া হয় শেভরনে।

কিন্তু ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধরা পড়েছে শেভরনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরির ফিরিস্তি।

অভিযানে ধরা পড়ে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট মেশিনে দিয়ে শেভরন ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ফ্রিজে সংরক্ষিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সেখানে পাওয়া গেছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হওয়া ক্যান্সার শনাক্তের ওষুধ আলফা ফ্রেটোপ্রোটিন। অথচ সেটি দিয়েই অনায়াসে পরীক্ষা হচ্ছিলো শেভরনে। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব রি-এজেন্ট ব্যবহারের ফলে ভুল রিপোর্ট আসবে বলে জানিয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধরা পড়ে তাদের এসব অনিয়ম।

এ ঘটনায় শেভরনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ও আর নিজাম রোড এলাকার শ্রেষ্ঠা মেডিসিন কর্ণারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জানা গেছে, ভোক্তা অ‌ধিকার সংরক্ষণ অ‌ধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তারের নেতৃত্ব অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।

সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার ও সংরক্ষণের দায়ে শেভরনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া শ্রেষ্ঠা মেডিসিন কর্ণারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বা‌র্থে এ কার্যক্রম অব‌্যাহত থাক‌বে।’

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!