উপমন্ত্রী নওফেলকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস, মেয়র নাছিরের অনুসারী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে আক্রমণ করে ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে এনামুল হক (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় এনামুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষা উপমন্ত্রীর মানহানি করার অভিযোগে এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল উদ্দিন রুবেল।

এনামুককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শিক্ষা উপমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। সে মামলার আসামী এনামুল হক। শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপার্দ করা হবে। এনামুলকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষা উপমন্ত্রীর পরিদর্শনের জের ধরে হামলার ঘটনায় মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার একটি সংবাদ নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে উপমন্ত্রীকে ‘ভাইফুত’ সম্বোধন করে এনামুল। এছাড়া মন্ত্রীর সাথে হাসপাতালে যাওয়া নেতাকর্মীদের ‘টোকাই’ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। একই পোষ্টে মন্ত্রীকে ‘তুই’ সম্বোধন করে অশালীন শব্দও ব্যবহার করেন এনামুল।

উপমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া চমেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ‘টোকাই’ লিখলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুন নিজে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করার কথা জানিয়েছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে। প্রাথমিকভাবে এনামুল স্ট্যাটাস দিয়ে মন্ত্রীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আক্রমণ ও মানহানি করার অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।

এনামুল হক বাকলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সোলাইমানের ছোট ভাই। স্থানীয় রাজনীতিতে সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সোলাইমান ও এনামুল হক। এছাড়া রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের সুবিধা কাজে লাগিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন রকমের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে এ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

এর আগে বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে এই গ্রেফতার হওয়া এনামুলের ভাই সোলাইমানের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সোলাইমান ও এনামুল হক দুজনেই ভাই। সোলাইমান বছর দুয়েক আগে আমাদের ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে গুলি করেছিল। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোলাইমানকে আসামী করা হয়েছে। এবারে এনামুল শিক্ষা উপমন্ত্রীকে নিয়ে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় ফেসবুকে লিখেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছে।’

এআরটি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!