কোরবানির গরু বিক্রি হবে তো— শঙ্কায় চট্টগ্রামের ৫০ হাজার খামারি

কঠিন সময়ে সামনে আসা কোরবানির ঈদে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার পশু খামারি পড়ে গেছে আর্থিক ক্ষতির আশংকায়। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার বিভিন্ন খামারির সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের কোরবানির সক্ষমতা কমে গেছে। ফলে কোরবানি পশুর চাহিদা কমে যাওয়া ও পুঁজি হারানোর দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা।

খামারিরা বলেন, করোনার কারণে কোরবানি খুব কম মানুষই করতে পারবেন। পশুর প্রকৃত দাম থেকে আমরা বঞ্চিত হবো। কম দামে বিক্রি করা বা পশু অবিক্রিত থেকে গেলে আমরা চরম আর্থিক ক্ষতিতে পড়ে যাবো।

এবার চট্টগ্রামে ছোট ও বড় মিলে প্রায় ৫০ হাজার খামারি কোরবানির জন্য পশু মোটাতাজা করেছেন। ভারতীয় গরুর ওপর নির্ভরতা কমাতে তরুণরাও ঝুঁকেছেন এ পেশায়। কোরবানির ৬-৭ মাস আগে চট্টগ্রামসহ নানা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাছুর সংগ্রহ করে খামারে মোটাতাজা করে কোরবানির বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার চট্টগ্রামে বড় ৮ হাজার ও ছোট ৪২ হাজারসহ মোট ৫০ হাজার খামারি পশু মোটাতাজা করেছে। চট্টগ্রামে এবার সম্ভাব্য কোরবানি পশুর চাহিদা ৭ লাখ ৩১ হাজার। তবে করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ চাহিদা পরিবর্তন হতে পারে।

হাটহাজারীর কয়েকজন খামারি বলেন, এবার করোনায় বেশ ঝামেলায় পড়েছি। লকডাউন পরিস্থিতিতে খামারে পশুর খাবারসহ অন্যান্য কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। অথচ বেশি কষ্ট করেও লাভের আশা করতে পারছি না।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, এবার চট্টগ্রামে প্রায় ৮ হাজার খামারি গরু মোটাতাজা করেছেন। গরু মোটাতাজা করার ক্ষেত্রে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খামারিদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে করোনায় সারা দেশের মত চট্টগ্রামেও কোরবানির পশুর চাহিদা কমতে পারে।

সিএম/এসএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!