ইউসুফ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম গ্রেপ্তার বাকলিয়ায়

বোয়ালখালীর চাঞ্চল্যকর সিএনজি অটোরিকশা ড্রাইভার ইউসুফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তারের পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরেক আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরও এক আসামি পলাতক রয়েছেন।

শনিবার (১১ এপ্রিল) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামি আবুল কালামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানা এলাকায়। তিনি নগরের কালামিয়া বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে ছিলেন।

বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা গত ১১-১২ বছর যাবত আত্মগোপন করে ছিল। আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়াও একই মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি রুবেলকে (৩৪) গত ৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘বোয়ালখালীর ওই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৫দিনের ব্যবধানে মৃত্যুদন্ড পাওয়া দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালামসহ তাহার সহযোগী অপর ৫ আসামি মিলে পূর্ব পরিকল্পনা করে ২০০৮ সালের ৩ মে সিএনজি অটোরিকশা ড্রাইভার মো. ইউসুফকে হত্যা করে। পরে নিহত ইউসুফের ব্যবহৃত সিএনজি (নম্বর- চট্ট মেট্রো থ-১১-৪০৫৭) ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ সময় আবুল কালামসহ অন্য আসামিরা নিহত ইউসুফের লাশ বোয়ালখালী থানা এলাকায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে সাতকানিয়া থানা এলাকায় জনগণ আসামি কাউছারসহ ওই সিএনজি আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

ওই মামলার তদন্ত শেষে বোয়ালখালী থানার পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত কাউছারসহ আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, চট্টগ্রাম ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি আবুল কালামসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!