চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এক পরিচ্ছন্নতা তত্ত্বাবধায়ককে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চসিকের সাবেক এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই কাউন্সিলরসহ মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের চান্দঁগাও থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত হাসান লিটন ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে চান্দগাঁও থানার নূর নগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর মারধরের শিকার পরিচ্ছন্নতা তত্ত্বাবধায়ক সবুক্তগীন মাহমুদ তায়েছ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পর ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
সাবেক কাউন্সিলর লিটন ছাড়াও বাকি আসামিরা হলেন- মিজানুর রহমান, মো. বাদশা, মো. মোরশেদ ও আব্দুর রহমান। এদের মধ্যে মিজান ও মোরশেদকে ঘটনার পরপরই আটক করা হয়। মামলার প্রধান আসামি লিটন পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক।
এ ব্যাপারে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন- ‘আমরা প্রতিদিনের মত ওই এলাকায় কাজ করছিলাম। কিন্তু সাবেক কাউন্সিলর লিটন তার দলবল নিয়ে আমাদের এক কর্মচারীকে লাঞ্চিত করে এবং গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমরা বুঝতে পারছি না তিনি এমন কাজ কেন করলেন, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে থানায় মামলা করা হয়েছে।’
ভুক্তভোগী তায়েছ জানান, ষোলশহর বির্জা খাল থেকে মাটি তুলে নূর নগর হাউজিংয়ে ফেলার জন্য গেলে শ্রমিকদের বাধা দেওয়া হয়। তারা সেখান থেকে এক কিলোমিটার এলাকায় চলে যান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তার নির্দেশে সেখানে সড়কের পাশে তারা মাটিগুলো রাখেন।
তখন হাসান লিটনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমাকে শার্টের কলার ধরে টেনে নিয়ে মারধর করা হয়। ট্রাকের চালকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয়।
সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি স্বীকার করে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান বলেন, চসিকের এক কর্মচারীর উপর হামলার বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে, ইতিমধ্যে আমরা দুইজনকে আটক করেছি, বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বিএস/কেএস