বিনা চিকিৎসায় ক্যান্সার রোগী বৃদ্ধার মৃত্যু আগ্রাবাদের হাসপাতালে

পরিবারের অভিযোগ

কর্ণফুলী উপজেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত নারী সন্ধ্যায় মারা গেছেন। ওই নারী ফুসফুসের ক্যানসারেও ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

সোমবার (১১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসাপাতালে ক্যানসার ওয়ার্ডে মারা যান তিনি। ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীর বাড়ি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর গ্রামে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, করোনা পজিটিভ আক্রান্ত রোগী দীর্ঘদিন আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আজ সন্ধ্যায় মারা যান। তিনি ক্যানসার ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

তিনি আরও বলেন, করোনা পজিটিভ রোগীর আত্মীয়স্বজনরা যদি চান সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ গ্রামের দাফন কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। দাফন কাজে চারজনের বেশি কেউ থাকতে পারবেন না। এই নিয়ম না মানলে সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে নমুনা পাঠানো হয়। সোমবার (২৭ এপ্রিল) রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। এরপর চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে আবারও মা ও শিশু হাসাপাতালে ক্যানসারে চিকিৎসা নেন তিনি। হঠাৎ অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে করোনা পজিটিভ রোগীর ছেলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, কিছুক্ষণ আগে কল করে জানানো হয়েছে মা মারা গেছেন। আজকে করোনার দ্বিতীয় দফা রিপোর্ট আসার কথা ছিলো। মা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। মেডিকেলে ডাক্তাররা চিকিৎসা দেয় নি। বিনা চিকিৎসায় আমার মা মারা গেছেন। ডাক্তারদের মধ্যেই করোনা ভাইরাস আছে। তাদের সংস্পর্শে এসে ওই নারী করোনা পজিটিভ হয়েছে দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে সোমবার (২৭ এপ্রিল) ১১ জন করোনা রোগীর মধ্যে একজনের বাড়ি কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর গ্রামে। ওই রোগীর সংস্পর্শে আসায় প্রশাসন ২০টি বাড়ি ও জাহাজ তৈরির একটি ডকইয়ার্ড লকডাউন করে দিয়েছে।

আরএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!