৬ বছরেও খোঁজ মেলেনি বাকলিয়ার সৌদি প্রবাসীর

চট্টগ্রামের বাকলিয়ার অস্থায়ী বাসিন্দা আবদুস ছোবহান। প্রায় ২৩ বছর ধরে ছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে তিনি ব্যবসা করতেন। ২০১৭ সালে দেশে আসার পর আর যাননি বিদেশ। ৫ বছর ৮ মাস আগে পত্রিকায় কিনতে বাসা থেকে বের হলে নিখোঁজ হন তিনি। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি।

পরিবার বলছে, দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময়ে অতিবাহিত হলেও আবদুস ছোবহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই সময় তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। তার সন্ধান পেতে পুলিশ ও পিবিআইকে জানানো হলে তারা দীর্ঘ সময়ে সন্ধান পায়নি তার।

আবদুস ছোবহান (৬৫) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা গ্রামের গুরুন আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বাকলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাকলিয়া নিরাপদ আবাসিক মাদ্রাসা ভবন ৬০৩ থেকে সকাল ৮টার দিকে সংবাদপত্র কেনার জন্য বের হলে আর ফেরেনি ছোবহান। বাকলিয়া থানায় নিখোঁজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী নুরুন নাহার।

নিখোঁজের ছেলে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আবিদ বলেন, ‘আমার বাবার দীর্ঘ ২৩ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। ২০১৭ সালের আসার পর তিনি আর যাননি, বাসায় থাকতেন। ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাকলিয়ার নিরাপদ আবাসিক মাদ্রাসা ভবন ৬০৩ রুম থেকে তিনি পত্রিকা কিনতে বের হলে এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনার পরদিন থানায় একটি জিডি করি। প্রায় ৫ বছর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও অদ্যবদি তার কোনো খোঁজ পাইনি। পুলিশও কোনো ধরনের সহযোগিতা পায়নি। তিনি কি বেঁচে আছেন কিনা সেটাও জানি না। এবিষয়ে পিবিআইয়ের কাছেও বিষয়টি জানিয়েছি। প্রথমে তারা সহযোগিতা করলেও পরবর্তীতে আর কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি।’

জানতে চাইলে বাকলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি তো এই থানায় এসেছি মাত্র এক বছর হলো। যিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই সময় থানায় কারা ছিলেন, সেটা তো এ মুহূর্তে বলতে পারব না। তারপরও বিষয়টি দেখছি।’

পরে ওনারদের (ভুক্তভোগীর পরিবার) থানায় পাঠাতে প্রতিবেদককে পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!