দুদকের মামলার জালে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক

চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ মালিকানা অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. শাহ আলম (৫৯) কুমিল্লার মুরাদনগর নহল এলাকার মাস্টার বাড়ির মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২৬ নম্বর রোডের ক্রাউন ভ্যালি ভবনের ৭৩১ নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সাবেক পরিদর্শকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

২০২২ সালের ২৩ মে দুদকের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৭১ লাখ ৫ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ সহ মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৪ টাকার মূল্যের সম্পদ অর্জন ও ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণ থাকার ঘোষণা দেন শাহ আলম।
দুদক অনুসন্ধানকালে তার গৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। তার আপন ছোট ভাইয়ের নিকট থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নেন শাহ আলম। পরবর্তীতে ঋণ দুটি পরিশোধও করেন তিনি। তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৫ টাকা। তার অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৪ টাকা। সেখানে তার অর্জিত সম্পদের চেয়ে গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস কম পাওয়া গেছে ১ কোটি ৭ সাত লাখ ৪১ হাজার ৭২৪ টাকা।

শাহ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসেন।

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!