৩৬৮—চট্টগ্রামে হু হু করে বাড়ছে শনাক্ত, থামছে না মৃত্যুর ছোবলও

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে চট্টগ্রামে। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৪.৪৩ শতাংশ হারে শনাক্তে খাতায় নাম লেখালেন আরও ৩৬৮ জন। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নগরের ২২৬ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১৪২ জন রয়েছেন। একই সাথে থামানো যাচ্ছে না করোনায় মৃত্যুও। এদিন করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩ জন। মারা যাওয়া তিন জনের মধ্যে এক জন নগরের বাসিন্দা, আর দুই জন নগরের বাইরের বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৩৬৫ জন। শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৫ হাজার ৫৮৩ জন। আর বিভিন্ন উপজেলার ১২ হাজার ৭৮২ জন রয়েছেন। অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৬৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭০ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২২১ জন।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ১০টি ও কক্সবাজারে একটি ল্যাবে এক হাজার ৫০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৪০ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৬ জন নগরের, ১৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৫২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হন দিনের সর্বোচ্চ ১১৬ জন। যাদের মধ্যে ৪৬ জন নগরের। বাকি ৭০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ২৩ জনই নগরের, বাকি ১৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৩৭ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদের ৩০ জন নগরের এবং ৭ জন বিভিন্ন উপজেলার রোগী।

এদিন ৭১ জনের নমুনা এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। তাতে উপজেলার ১৭ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি (আরটিআরএল) ল্যাবে ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের দেহে করোনা পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে ২০ জনই নগরের এবং ৫ জন উপজেলার।

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

এছাড়া, নগরীর বেসরকারি করোনার ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ৩৩ জনই নগরের, বাকি ১ জন উপজেলার। শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা নগরের ২৮ জন ও উপজেলার ৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১ নমুনা পরীক্ষায় ১১ জন করোনা পজিটিভ হন। এদের মধ্যে ৭ জন নগরের এবং বাকি ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। ইপিক হেলথ কেয়ার ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১৩ জন এবং উপজেলার ৩ জনের দেহে করোনা পজিটিভ আসে। এদিন বেসরকারি করোনা পরীক্ষাগার চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

এছাড়া, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ২ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ আসে।

উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলায় দিনের সর্বোচ্চ ৩৩ জন করোনা শনাক্ত হয়। ফটিকছড়ি উপজেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ জন করোনা শনাক্ত হন। এছাড়া, মিরসরাইয়ে ২১ জন, রাউজানে ১৯ জন, হাটহাজারীতে ১৫ জন, বোয়ালখালীতে ৭ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৬ জন, পটিয়ায় ৫ জন, সাতকানিয়ায় ৪ জন, বাঁশখালীতে ৩ জন এবং আনোয়ারায় ১ জন শনাক্ত হয়েছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!