২৫ হাজার টাকার শাড়ি এক লাফে নেমে এলো ৫ হাজারে

কক্সবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

পাঁচ হাজার টাকার একটি কাতান শাড়ির দাম চাওয়া হচ্ছিল ২৫ হাজার টাকা। ভ্রাম্যমাণ আদালত সেই দোকানে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সেটা হয়ে হেল ৫ হাজার টাকার পোশাক। আড়ংয়ের একটি পাঞ্জাবির পাইকারি ক্রয়মূল্য এক হাজার ২৫০ টাকা। কিন্তু সেটা বিক্রি হচ্ছিল ১৮৭০ টাকায়। একটি ফ্রকের মূল্য হাঁকানো হচ্ছিল ছয় হাজার ৯৫০ টাকা। কিন্তু ওই ফ্রকের পাইকারি ক্রয়মূল্যের ভাউচার চাওয়া হলে দোকান কর্তৃপক্ষ তা দিতে গড়িমসি শুরু করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বিভ্রান্ত করার জন্য দোকানমালিকের চেষ্টাও কম ছিল না। এক পোশাকের জায়গায় অন্য পোশাকের পাইকারি ক্রয়মূল্য দেখানোর চেষ্টা হয়েছে বারেবারেই। শেষপর্যন্ত পোশাকের ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের অসামঞ্জস্যতা, অতিরিক্ত মুনাফা নেওয়ার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কক্সবাজারের বড়বাজার রোড শাহিদা টাওয়ারে মেগামার্ট শপিংয়ের মালিক জহিরুল ইসলামকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত শহীদ পিংকির নেতৃত্বে কক্সবাজারের বড়বাজার রোডের বিভিন্ন দোকানে এই অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সানা ক্লথ স্টোর নামের আরেকটি দোকানে গিয়েও একই চিত্র দেখতে পান। সেখানে বেশিরভাগ পোশাকেরই পাইকারি ক্রয়মূল্যের ভাউচার পাওয়া যায়নি। সানা ক্লথ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মোক্তার আহমদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন মোবাইল কোর্ট।

এর আগে ক্রয়মূল্যের ভাউচার না থাকা ও অধিক মুনাফা লাভের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছালাম শপিং কমপ্লেক্সের সাকিব বস্ত্র বিতানের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেলিমকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরিধান বস্ত্র বিতান, সীমা ফ্যাশনসহ কয়েকটি দোকানকে প্রতিটি পোশাকে মূল্য ট্যাগ লাগানোর নির্দেশও দেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!