হুইপের ত্রাণ আনতে গিয়ে লাশ হলেন পটিয়ার বৃদ্ধা

আগের চেয়ারম্যানকে কোণঠাসা করতে আটকে রাখা হয়েছিল ত্রাণ

চট্টগ্রামের পটিয়ার কোলাগাঁও ইউনিয়নে ত্রাণ আনতে গিয়ে জহুরা খাতুন (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

জহুরা খাতুন কোলাগাঁও ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবদুল মোনাফের স্ত্রী। তার ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে আছে।

জানা যায়, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের লাখেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ত্রাণ বিতরণের আয়োজন করে কোলাগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে এলাকার হতদরিদ্র ৩ হাজার পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

ত্রাণ নিতে শনিবার সকাল থেকেই স্কুলের মাঠে জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ। দুপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণ নিতে দীর্ঘ লাইনে কড়া রোদে দাঁড়িয়ে ছিলেন বৃদ্ধা জহুরা খাতুন। এ সময় তিনি মাথা ঘুরে পড়ে গেলে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

জহুরা খাতুনের ছেলে মাহবুবুল হক বলেন, আমার মা ত্রাণসামগ্রী নিতে সকাল ১১টার দিকে স্কুল মাঠে যান। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কড়া রোদের দুপুর দেড়টার দিকে মাথা ঘুরে পড়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।

সূত্রে জানা যায়, কোলাগাঁও ইউনিয়নটি নদী তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় কয়েক মাস আগে সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ নূরকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তিন হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণসামগ্রী উপহার দেন। কিন্তু আহম্মদ নূরকে এলাকায় কোণঠাসা করতে সরকার দলীয় একটি মহল তার সময়ে ত্রাণ বিতরণ করেনি।

গত ইউপি নির্বাচনে যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর এ ত্রাণ বিতরণের আয়োজন করেন। তিন হাজার ত্রাণ নিতে চার-পাঁচ হাজার মানুষ ভিড় জমায় স্কুলমাঠে। এত মানুষের উপস্থিতি নিয়েও এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ব্যাপারে জানতে কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চৌধুরীকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!