হাটহাজারীর কর্মকর্তা দিয়ে সপ্তাহে একদিন চলে আনোয়ারা নির্বাচন অফিস

ঝুলে আছে ১৬০০ আবেদন

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবাপ্রার্থীদের। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদটি শূন্য থাকায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এখনো পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৬০০ আবেদন জমা পড়ে আছে অফিসে।

সেবাপ্রার্থীদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সমাধান করার মতো একটি বিষয় সমাধান না করে অন্য অফিসে কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে ফাইল আর সামনের দিকে এগোয় না।

জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে নতুন আবেদন ১ হাজার ২০০টি, সংশোধনী ১৫০টি, স্থানান্তর ২০০টি, দ্বৈত ভোটার ১০টি ও হারানো আবেদন ৫০টি জমা পড়েছে। এদের মধ্যে অনেক প্রবাসী ও চাকরিজীবী। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা না থাকায় এবং চার মাস ধরে বিশেষ সভা না হওয়ায় এসব আবেদন ঝুলে আছে দিনের পর দিন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক সেবাপ্রার্থী লোকজন ভিড় করে আছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসে। কেউ নতুন ভোটার হতে এসেছেন, কেউ এসেছেন সংশোধনের জন্য আবার কয়েকজন প্রবাসী জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল ঠিক করতে এসেছেন অফিসে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ার খালেদ তখনও অফিসে আসেননি।

অফিসের কর্মরতরা জানান, নির্বাচন কর্মকর্তার পদটি শূন্য। হাটহাজারী থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে একজন নির্বাচন কর্মকর্তা সপ্তাহে একদিন অফিস করেন।

আনোয়ারা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বরে নির্বাচন কর্মকর্তা ছুটি যাওয়ার পর হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আনোয়ারার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সপ্তাহে একদিন অফিস করেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বানাতে আসা মো. ইমরান বলেন, ছয়মাস ধরে ঘুরছি এনআইডি কার্ডের জন্য, কখন পাবো তাও জানি না। এনআইডির জন্য পাসপোর্ট করতে পারছি না। নির্বাচন অফিসে গেলেই কর্মকর্তা নেই বলে জানায়।

আরেক ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি বিদেশ যাবো। কাগজপত্র সব ঠিক করে গত দুই মাস আগে অফিসে জামা দিয়েছি। কিন্তু তারপরও আমার কাজটি হচ্ছে না। এই দুই মাসে আমি ১৫ বার এসেছি অফিসে কিন্তু কর্মকর্তাদের দেখা পাইনি। এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট করতে পারছি না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ার খালেদ বলেন, অফিসিয়াল কাজ নিয়ম অনুযায়ী চলছে। আমি আনোয়ারায় অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে সপ্তাহে একদিন অফিস করি। প্রতি সপ্তাহে একদিন ছবি তোলার কাজ চলে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এখানে আমাদের করার কিছু নেই। তবে জনগণের ভোগান্তি লাঘবে অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি আছেন তাঁকে সপ্তাহে দুইদিন অফিস করার ব্যবস্থা করা হবে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!