স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দেখেই ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান নৌকা সমর্থকদের, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তেজনা তৈরি হলে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি তৈরি হয়। এ সময় কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনকে দেখে নৌকার প্রার্থী এমএ লতিফের সমর্থকরা ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল দুপুর ১টার দিকে আগ্রাবাদ গোসাইলডাঙ্গা রামকৃষ্ণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এই আসনের গোসাইলডাঙ্গা রামকৃষ্ণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন। তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করার পর বাইরে হট্টগোল শুরু করে নৌকার সমর্থকরা। এ সময় নৌকার সমর্থকরা সুমনকে দেখে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। পরে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও থমথমে থাকে কেন্দ্রের পরিবেশ।

এদিকে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াতে ভোট দিতে আসা ভোটারদের বিপাকে পড়তে দেখা গেছে। অনেকেই ভোট না দিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

এই কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ হাজার ২৬৬ টি ভোটের মধ্যে মোট ১ হাজার ১৬টি ভোট সংগ্রহ করা হয়।

কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. বেলাল আহমেদ বলেন, ‘সকাল থেকেই মোটামুটি ভোটারদের উপস্থিতি ভাল ছিল। তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলে ভোটারের উপস্থিতি আরও বাড়তো।’

অপরদিকে কদমতলী আবেদীয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও নৌকা ও কেটলী প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশের উপস্থিতি হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এই কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৫৭১টি ভোটের বিপরীতে ভোট সংগ্রহ করা হয় ৭২৯। বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রিজাইডিং অফিসার মো. ফয়জুল্লাহ।

চট্টগ্রাম ১১ (বন্দর পতেঙ্গা) আসনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫২টি। এবং ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৮ হাজার ৫২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৪ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৬ জন। এই আসনে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন দু’জন।

বিএস/এএইচ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!