আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে ৮ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি বিমানের ধ্বংসাবশেষ

বিধ্বস্ত হওয়ার ৮ ঘণ্টা পার হলেও বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমানটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। নদীতে জোয়ারের কারণে বিমানের ধ্বংসাবশেষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যাচ্ছে বলে ধারণা করছে উদ্ধারকারী দল।

নৌবাহিনীর বিশেষ ডুবুরি দল আবার আগামীকাল থেকে বিমান খোঁজার কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীর মোহনায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের ১১ নম্বর ঘাটের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের অপর পাশে এইচএম স্টিল মিল প্রান্তে বিমানটি আঁছড়ে পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় যান্ত্রিক ক্রুটির ফলে আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

জানা গেছে, বিমানের ভগ্নাংশ খুঁজে পেতে চিরুণী অভিযান চালাচ্ছে বিমান, নৌ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বিমান বাহিনীর আধুনিক উদ্ধার জাহাজ ‘বলবান’ বিমানের ভাঙা অংশ উদ্ধারে কাজ চালাচ্ছে। এছাড়াও বিমানটি খুঁজতে বিশেষ ‘সোনার সিস্টেম’ও ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা তিন ভাগে বিমানটি খুঁজছেন। যে জায়গায় বিমানটি পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে লাল রংয়ের একটি বেলুন দিয়ে শনাক্ত করা হয়েছে, সেখানে ডুবুরি দিয়ে খোঁজা হচ্ছে। অন্য একটি দল নদীর পাড়ে খোঁজ চালাচ্ছে। এছাড়া আরেকটি দল জহুরুল হক ঘাঁটিতে বসে সবকিছু মনিটরিং করছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর বিমানটির পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ ও কো-পাইলট উইং কমান্ডার সুহানকে হেলিকাপ্টারে করে বনৌজা ঈশা খাঁ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে পাইলট অসীম জাওয়াদ মারা যান। তবে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন কো-পাইলট সুহান। বর্তমানে সুহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত অসীমের মরদেহের ময়নাতদন্ত ইতোমধ্যে শেষ করেছে ঈশা খাঁ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন লাশটি বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে শেষ বারের মতো নিয়ে যাওয়া কথা রয়েছে। সেখানে রাত ৯টায় নিহতের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অসীমকে তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার মানিকগঞ্জে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!