স্ত্রী-সন্তান ফেলে স্বামী ঘুরছিলেন অন্য মেয়ের সঙ্গে, রাস্তায় হাতাহাতি

প্রকাশ্য সড়কে দুই নারী টানাহেঁচড়া করছিলেন এক পুরুষকে নিয়ে। কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। ঝগড়ার পারদ ক্রমেই উঠছিল উঁচুতে। মুহূর্তেই লোকজন জড়ো হয়ে গেল ঘটনার কারণ জানতে।

শেষপর্যন্ত জানা গেল, ওই পুরুষটি তার প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই গোপনে করে রেখেছিলেন আরও একটি বিয়ে। সেই স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীকে ঘুরতে দেখে প্রথম স্ত্রী মুহূর্তেই স্বামীর শার্টের কলার ধরে বসেন।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটেছে। আর ওই পুরুষের নাম মোহাম্মদ আলমগীর।

আলমগীরের প্রথম স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেওয়া নোয়াখালীর মেয়ে ফাতেমা বেগম রত্না জানিয়েছেন, প্রায় ১৫ বছর আগে চট্টগ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে আলমগীরের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এর একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন।

তিনি বলেন, ওই সময় আলমগীর তার বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায় বলে জানালেও সেখানে কখনও তাকে নিয়ে যাননি। ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। ১০ ও ৬ বছর বয়সী দুটি সন্তানও রয়েছে তাদের সংসারে।

কিছুদিন আগে ফাতেমা জানতে পারেন, বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা এলাকার আছমা খাতুন নামে দুই সন্তানের এক মাকে গোপনে বিয়ে করেছেন আলমগীর। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্বামী আলমগীর এ ধরনের বিয়ের কথা অস্বীকার করে একপর্যায়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।

প্রথম স্ত্রী ফাতেমা অবশ্য হাল ছাড়েননি। তিনি তক্কে তক্কে থাকেন। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ওই নারীর সঙ্গে ঘুরতে দেখে স্বামী আলমগীরকে প্রকাশ্য সড়কেই ঝাপটে ধরেন তিনি। এ সময় আলমগীরকে নিয়ে ফাতেমা বেগম ও আছমা খাতুনের মধ্যে চলে টানাহেঁচড়া। একপর্যায়ে হয় হাতাহাতিও।

ঘটনা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন মিলে তাদের বোয়ালখালী থানায় নিয়ে যায়। তবে থানার পৌঁছার পর একপর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী আছমা খাতুনকে নিয়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান আলমগীর।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালামত উল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!