স্ত্রীসহ আমীর খসরুকে আবার ডেকেছে দুদক, ভায়রাও আছে

নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের প্রমাণ মিলেছে, বলছে দুদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট প্রথমবার ডাকার আড়াই বছর পর এবার দ্বিতীয় দফায় এই বিএনপি নেতাকে ডাকা হল আবার।

শুধু আমীর খসরুই নয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার সঙ্গে তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম এবং ভায়রা (স্ত্রীর বোনের স্বামী) গোলাম সরোয়ারকেও তলব করা হয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে। আগামী ১ মার্চ তাদের রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নোটিস পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট অবৈধ লেনদেন, অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমীর খসরুকে তলব করা হয়েছিল দুদকে।

বিএনপি নেতা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের পাশাপাশি স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও নিজের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উত্থাপন করেছে দুদক।

তবে দুদকের ওই তলবে আমীর খসরু সাড়া দেননি। বরং দুদকের নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আমীর খসরু।

এরপর ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আবার নোটিস পাঠায় দুদক। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠান আমীর খসরু। হাইকোর্টে তার করা রিট ‘বিচারাধীন আছে’ জানিয়ে এর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে সেখানে অনুরোধ করা হয়।

পরে ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই রিট আবেদন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তোলা হলে তা সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর আমির খসরু ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।

পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে আমীর খসরু ও তার স্ত্রীকে পৃথক নোটিস পাঠায় দুদক। আমীর খসরুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বেশি নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের প্রমাণ মিলেছে বলে সেই নোটিসে উল্লেখ করা হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!