নামে ওষুধ, বাজারে মিললো ময়দার সেকলো

হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্টিকের নকল ওষুধ ‘সেকলো’ বাজারে ছাড়ছে একটি চক্র। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। অভিযোগ রয়েছে, এ চক্রকে সহযোগিতা করছে অতি মুনাফালোভী কতিপয় ফার্মেসি মালিক।

তাদের কাছ থেকে নকল ও ভেজাল ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ হওয়ার বদলে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে নানারকম রোগ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অভিযানে বিভিন্ন সময় নকল ওষুধসহ চক্রের সদস্যরা ধরা পড়লেও তাদের তৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না।

এবার ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে হাটহাজারীর এক ফার্মেসিতে মিলল ময়দা দিয়ে বানানো হুবহু নকল সেকলো। হাটহাজারীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে সয়লাব এমন ভেজাল ওষুধে। এক শ্রেণির ফার্মেসি মালিকরা অধিক মুনাফার জন্য নকল সেকলো বিক্রি করে মানুষের স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি ডেকে আনছে।

জানা যায়, হাটহাজারী পৌরসভার আলম ফার্মেসির মালিক আলম দীর্ঘদিন নকল ওষুধ বিক্রয় করে আসছিল। সম্প্রতি এক ক্রেতা নকল ওষুধ বিক্রির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের নজরে আসে। এরই ভিত্তি বুধবার (৫ ফেব্রæয়ারি) সকাল ১০টায় সেখানে অভিযানে যান ইউএনও। এতে তিনি দুই ফার্মেসি থেকে দুইপাতা সেকলো কিনে দেখলেন ভেতরে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মত ছোট ছোট দানায় ভরা।

নামে ওষুধ, বাজারে মিললো ময়দার সেকলো 1

পরে আলম ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে ২২৯ পাতা নকল সেকলো জব্দ করা হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর অন্য আরেক ভবনের গোপন গোডাউন থেকে অভিযান চালিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সরকারি ওষুধ জব্দ করেন ইউএনও।

অভিযানে ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালিক পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আলম ফার্মেসি ও গোডাউনে অভিযান চালিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সরকারি ওষুধ ও নকল সেকলো জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালিক পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সিএম/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!