সিডিএর কাজ নিয়ে হতাশ চট্টগ্রামের প্রকৌশলীরা

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সর্বোচ্চ পদটিতে প্রকৌশলী নিয়োগ না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন। একই সঙ্গে সিডিএর কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রকৌশলীরা।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সিডিএর অনেক ফান্ড। অনেক উন্নয়ন করছে তারা। তবে সিডিএর কাজে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে হবে। সর্বস্তরের মানুষের চিন্তাধারা, আশা-আকাঙ্খা – যে কোনো প্রজেক্টকে টেকসই করার জন্য পরিকল্পিত চিন্তাভাবনা দরকার। এখানে অনেকগুলো প্রকৌশলগত বিষয় আছে। এগুলো পরিপূর্ণভাবে আয়ত্বে এনে সুনির্দিষ্ট ফ্রেমে নিয়ে আসতে হলে ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা হবে সবচেয়ে বড়। এসব কথা আমরা বারবার বলে আসছি। কিন্তু আমরা বাস্তবে কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না।’

একই বিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করছে। এটা ঠিক হচ্ছে কিনা? আরো পরিকল্পনা করার দরকার আছে কিনা? এসব বিষয়ে মতামত জানিয়ে আমরা সিডিএকে পত্র দিয়েছি।’

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ে প্রকৌশলীদের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা; বিদেশী বিশেষজ্ঞ আমদানির নামে আমাদের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার ব্যাপক অপচয় রোধ করা এবং প্রকৌশল সেক্টরের সর্বস্তরের প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা এখন সময়ের দাবি। বিদেশী প্রযুক্তি দেশে স্থানান্তরের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান অনুসরণ করা গেলে বিদেশী বিশেষজ্ঞ নির্ভরতা ক্রমে হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় কমবে।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। বিদেশী বিশেষজ্ঞ হলে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করতে হতো। আমাদের ক্যাপাবিলিটি আছে। প্রকৌশলীদের সুযোগ দিতে হবে।

নগরীর শহীদ সাইফুদ্দীন খালেদ সড়কে অবস্থিত কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার দে, কাউন্সিলর সদস্য প্রকৌশলী রাজিব বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, ঝুলন কুমার দাশসহ নেতৃবৃন্দ।

এর আগে সকাল নয়টায় জাতীয় পতাকা ও আইইবির পতাকা উত্তোলন, সকাল নয়টা দশ মিনিটে শপথবাক্য পাঠ এবং সাড়ে নয়টায় র্যালির মাধ্যমে ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’র দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

এমএ/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!