বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বৃদ্ধ খাইরুজ্জামানের চৌদ্দ শতক জমি দখল করে নিয়েছে মৌলানা আব্দুল্লাহ নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। ওই ভূমি ভরাটে বাধা দেয়ায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বৃদ্ধ খাইরুজ্জামান ও তার মেয়ে জামাই মো. মনির উল্লাহকে গুরুতর আহত করেছে। স্থানীয়রা বলছে হামলাকারী মাদ্রাসা শিক্ষক মসজিদের ইমাম হওয়ায় বিভিন্ন প্রভাব দিয়ে অন্যের ভূমি জবর দখল করছেন।
ভূমি মালিক খাইরাজ্জামান বলেন, সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা মৌজায় আমার চৌদ্দ শতক জায়গা মাদ্রাসা শিক্ষক মৌলানা আব্দুল্লাহ জোরপূর্বক দখল করে ট্রাক দিয়ে মাটি ভরাট করছিল। ৩০ এপ্রিল আমি ও আমার মেয়ের জামাই মো. মনির উল্লাহ বাধা দিতে গেলে মাদ্রাসা শিক্ষকের নেতৃত্বে ৪/৫ জন লোক সশস্ত্র হামলা করে আমাদের গুরুতর আহত করে। আমার জামাতার পা ভেঙ্গে দেয়। এ অবস্থায় আমি ২ মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (দক্ষিণ) চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করি। দীর্ঘ শুনানি শেষে ওই জায়গার ওপর ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। নিষেধাজ্ঞা আদেশটি থানা পুলিশের মাধ্যমে তার কাছে প্রেরণ করলেও তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জায়গা ভরাট করে চলছে। এরপর হুমকি দিচ্ছে আমাকে যে কোনভাবে হত্যা করা হবে।
জানা গেছে, প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষিতে ৫ মে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা ২১৫/১৯ দায়ের করেন খাইরুজ্জামানের জামাতা মোহাম্মদ মনির উল্লাহ।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত মৌলানা আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমার দখল করা জায়গা খাইরুজ্জামানের নয়। তার আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও ভরাট করা জায়গার ওপর নয়। এছাড়া আমি কোন ধরনের হামলা করিনি, হুমকিও দিচ্ছি না। ওরা কিভাবে আহত হয়েছে তাও জানি না। ওরা আইনের আশ্রয় নিয়েছে। আইন যা করে তা আমি মা্নবো।’
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ বৃদ্ধ খাইরুজ্জামান থানায় এসে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিলে তা পুলিশ পৌঁছিয়েছে কাজও বন্ধ করেছে। এখন পুলিশ পুরো ঘটনাটা তদন্ত করছে। যাবতীয় বিষয় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ আইনকে অপব্যবহার করতে পারবে না।’