সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা থাকায় দেশ উন্নতির শিখরে, বললেন বিচারপতি ওবায়দুল

দেশে সাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থা বলবৎ আছে বলেই দেশ আজ ক্রমান্বয়ে উন্নতির শিখর আরোহণের পথে অনেক দূর এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগ ও এ কে খান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের সংবিধান : সংশোধন ও বিকাশ শীর্ষক চতুর্থ এ কে খান স্মারক আইন বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ কিছু নিয়মনীতি ও নির্দশনার মধ্য দিয়ে শাসিত হতে থাকে। প্রত্যেকটি দেশ তার জনগোষ্ঠীর কল্যাণে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়ন ও প্রবর্তন করে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় একটি মূল আইনের, যাকে সভ্য দুনিয়ায় সংবিধান বলে উল্লেখ করা হয়।

তিনি প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানের তৃতীয় ভাগে প্রত্যেক নাগরিক ও এদেশে সাময়িকভাবে অবস্থানরত মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করা হয়েছে। এ সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ধর্ম নিরপক্ষতার অন্তর্ভুক্তি।

তিনি আরও বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ মুক্ত। কোনো দেশ যদি সাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থা বলবৎ না থাকে সে দেশের নাগরিক ও সাময়িকভাবে বসবাসরত সকল ব্যক্তিকেই একটি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের উপলব্ধি ও প্রজ্ঞা থেকে স্বাধীনতার পরে এত দ্রুততার সঙ্গে সংবিধান প্রণয়নে সচেষ্ট হয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজেদা আক্তার।

এমআইটি/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!